Header Ads

মাতৃভাষার মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ



গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। নিজের মাতৃভাষার প্রতি দায়িত্ব পালন করার দিন হলো এই দিন। একটু চোখ মেললেই দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বে অজস্র ভাষা আজকে ধ্বংসের পথে। বিশেষ কয়েকজন অসচেতন মানুষের বশেই এমনটা ঘটে থাকে। অথচ মাতৃভাষা হলো মানুষের মৌলিক অধিকার।তাকে রক্ষা করা আমাদের গুরুদায়িত্ব।

আজকে বাংলার রাজধানী কলকাতার বুকে বাংলা ভাষা ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ থাবা বসাচ্ছে কলকাতার বুকে। দেশের সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক ভাষা সব ভাষাতে হয়না। ভারতে বেশ কিছু ভাষা লুপ্তপ্রায়। সারা পৃথিবীতে অজস্র 'সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ' রয়েছে মানে ইশারার মাধ্যমে যে ভাষাতে মানুষ কথা বলে। তাদের কথাও সকলকে চিন্তা করতে হবে। একটি দেশের উন্নতির মাপকাঠি হলো তার মাতৃভাষার সুনির্দিষ্ট অধিকার। 

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কয়েকজন সচিব তাদের এক রিপোর্টের মাধ্যমে মাতৃভাষায় অধিকার সুনিশ্চিত করতে চলেছেন সারা পৃথিবী জুড়ে। প্রায় ৬০০০ বিলুপ্তপ্রায় ভাষাকে সংরক্ষণের দাবি উঠেছে রিপোর্টে। এমনকি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি ক্ষেত্রে মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও ওঠে। জাতিপুঞ্জের কয়েকজন সচিবের এই মহান সিদ্ধান্তের ফলে রক্ষা পাবে অসংখ্য ভাষা। এছাড়াও মাতৃভাষার প্রতি গুরুত্ব বাড়বে সকল মানুষের। 

মাতৃভাষা হলো এমনই একটি বস্তু যার মাধ্যমে আমরা কম সময়ে সহজেই জ্ঞানার্জন করতে পারি। ব্যাঙ্ক, রেল ও বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে সঠিক পরিষেবা একমাত্র পাওয়া যেতে পারে মাতৃভাষার মাধ্যমেই। মাতৃভাষা হলো মায়ের ভাষা। মাতৃভাষা নিয়ে কাজ করার নৈতিক অধিকার প্রতিটি মানুষের আছে। ভারত সরকার যেখানে অবুঝ হয়ে সকল অহিন্দি জাতির ওপর হিন্দি চাপাচ্ছে সেখানে জাতিপুঞ্জ মাতৃভাষার অধিকার নিশ্চিতের কথা বলছে। জাতিপুঞ্জের মহৎ সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে তা সময়ই বলবে। তবে যুগে যুগে প্রতিটি দেশ ভরসা রেখেছে জাতিপুঞ্জের ওপর। সবক্ষেত্রেই হাতেনাতে ফলও পাওয়া গেছে। অতএব জাতিপুঞ্জের এই সিদ্ধান্তও আশা করাই যায় যে একাশো শতাংশ কার্যকর হবে।    

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments