Header Ads

এনআরসির বিরুদ্ধে রেকর্ডিং হলো গীতিকার অভিজিৎ পালের নতুন বাংলা গান 'এনআরসি'


বাঙালিকে বিশেষভাবে রাষ্ট্রহীন করে তোলার বৃহৎ চক্রান্ত হলো এনআরসি। যার কবলে বিপর্যস্ত আসামের উনিশ লক্ষ বাঙালি। এনআরসির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্যজুড়ে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। এনআরসির ফলে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব সংকট ঘটতে পারে। এনআরসি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন এ দেশের নাগরিককে প্রমাণ দিতে হয় তিনি সত্যিই এ দেশের নাগরিক কিনা। আজকে মানুষের হাতে আধার ও ভোটার কার্ড রয়েছে। তারপরও একজন এ দেশের নাগরিককে সরকারের লোকেদের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে হচ্ছে।  

      
এনআরসির মতো একটি ভয়ানক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভকে উগরে দিতে আসছে নতুন বাংলা গান 'এনআরসি'। যে গানের প্রতি অক্ষরে উঠে এসেছে মানুষের হাহাকার, দুঃখ-যন্ত্রণার কথা ও রাষ্ট্রহীন হওয়ার গল্প। সংগীত শিল্পী চিন্ময় সরকারের সুরে ও কণ্ঠে, অভিজিৎ পালের কথা ও কবিতায়, সাবর্ণী বসুর আবৃত্তিতে তৈরি হয়েছে এই গান। এ গানের মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন তাবুন। অবশেষে শত বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে রেকর্ডিং সম্পূর্ণ হলো এ গানটির। 

'এনআরসি' গানের প্রসঙ্গে এ গানের গীতিকার অভিজিৎ পাল লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান যে "বিখ্যাত সময়ে আমি জন্মায় নি তাই বিখ্যাত হওয়ার ভয়ও আমার নেই।ভাঙতে ভাঙতে মুচড়ে গেছে অস্তিত্ব, স্বপ্ন, বিশ্বাস।আমাদের বন্ধুত্ব গুলো হারিয়ে যাচ্ছে ব্যবধানে। দুর্গন্ধময় রাজনৈতিক পরিবেশ ঠিক করে দিচ্ছে আমাদের অবস্থান। একটা কাগজ একটা সই ঠিক করে দেবে কে থাকবে আর কে যাবে? এটা আমার দেশ হতে পারেনা। এটা আমার রাষ্ট্র হতে পারে না। রক্তের রঙের ভাগ করছে সরকার। তাই আমার প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছি গান। এমন পরিচয় চাইনা যেখানে আমার অন্য ধর্ম অবলম্বনকারী বন্ধুদের হারাতে হয়। এনআরসির প্রতিবাদে আমার এ গান। আমরা কোন কাগজ দেখাবো না।"

নির্ভীক শিল্পীদের এমন মহান উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন গান তৈরির জন্য প্রয়োজন প্রচন্ড সাহস। যে সাহস এই গানের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে বিদ্যমান। সমাজের ঘুমিয়ে থাকা কিছু মানুষ যারা হাজারো অন্যায় সহ্য করে বেঁচে আছে। অথচ প্রতিবাদ তো দূরের কথা উল্টে তাদেরই জয়গান করছে। অনেকটা হীরক রাজার দেশে প্রজাদের মতো। হীরক রাজা হাজার অত্যাচার করা সত্বেও তার প্রজারা বলে চলে 'যাই যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান।' এমন অন্ধ সমাজের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জেগে উঠবে এই গানে।     

প্রতিবেদন- সুমিত দে       
     

1 comment: