Header Ads

ল্যাংচার স্বর্গ শক্তিগড়ের জগৎবিখ্যাত ল্যাংচা বাঁচিয়ে রাখছে বাঙালির বাণিজ্যকে


অনেকে বলেন বাঙালি নাকি ব্যবসা করতে পারেনা কিন্তু ইতিহাস তা বলেনা। সেই মধ্যযুগের চাঁদ সদাগরের সময় থেকেই বাংলার বিভিন্ন ব্যবসা যেমন মসলিন ইত্যাদির জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্ব জুড়ে। প্রাচীন বাংলার সাথে চীন, মালয়েশিয়া, মিশর ও আরবে চলত বাণিজ্য। যদিও দেশভাগের পূর্বের মাড়োয়ারি ও ব্রিটিশদের তৈরি গণহত্যা, দেশভাগ ও সময়ে সময়ে ভারত সরকারের একাধিক বাঙালি কোম্পানি অধিগ্রহণ করে বাংলার ব্যবসাকে ভেঙে দিতে সমর্থ হয়। ব্যবসায় ওপার বাংলায় বর্তমানে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে, এপার বাংলাও পিছিয়ে নেই। নতুন প্রজন্ম আবার ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন।


বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা আজও রয়ে গেছে যেমন জয়নগরের মোয়া, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, সবং এর মাদুর, নয়াগ্রামের পট, বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি ইত্যাদি।

পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে রয়েছে অজস্র ল্যাংচার দোকান। ১৯ নং জাতীয় সড়কের ধার বরাবর আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন নামের ল্যাংচার দোকান। ল্যাংচা ভুবন, ল্যাংচা সাগর, ল্যাংচা নিকেতন, ল্যাংচা মহল, ল্যাংচা ধাম, ল্যাংচা হোম, ল্যাংচা হাউস, ল্যাংচা হল্ এরকম নামের অসংখ্য দোকান আপনার চোখে পড়বে।

সেই ব্রিটিশদের সময় থেকেই এখানে চলছে ল্যাংচার ব্যবসা।ব্রিটিশদের অনেকে এই মিষ্টির প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। কোনো কোনো দোকান দিনে ১৫০০০ পিস ল্যাংচা বিক্রি করে থাকে। এই ব্যবসায় প্রায় ৯৫ শতাংশই বাঙালিদের দোকান। বাঙালিকে এভাবেই বাজার ধরে রাখতে হবে।


ফিল্ম স্টার থেকে সেলিব্রিটি সকলের কাছেই প্রশংসা কুড়িয়েছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা। ৩, ৫ ও ১০ টাকা দামের ল্যাংচা সাধারণত বেশি বিক্রি হয়। বিভিন্ন দোকান দারের কথা অনুযায়ী এখানে অফ সিজিনেও ৩০০০ পিস সর্বনিম্ন বিক্রি হয়। বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ, হলুদ মিহিদানা ও মালপোয়াও সাথে সাথে বিক্রি হয়ে থাকে। এক কথায় শক্তিগড়ের ল্যাংচা বাংলার গর্ব।

No comments