Header Ads

গোলাপি টেস্টে বাঙালিদের চরম উন্মাদনায় বাংলায় প্রত্যাবর্তন করলো বাংলা ভাষ্যপাঠ


গোলাপী টেস্টের উন্মাদনায় ভাসলো গোটা শহর। কলকাতা যেন পরিণত হয়েছিল গোলাপি শহরে। পুরো স্টেডিয়াম গমগম করছিল লোকজনের ভিড়ে। একটা নতুন ইতিহাসের সাক্ষী বহন করলো ইডেন গার্ডেন। বাংলার রাজধানী শহর কলকাতা লিখলো নতুন ইতিহাস। ভারতের প্রথম গোলাপি টেস্ট ম্যাচ উদযাপনে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে কলকাতার নাম। 


এই খেলার মাধ্যমে ফিরে এলো বাংলায় ভাষ্যপাঠ। কোন একটা সময় আকাশবাণীতে খেলা হলে বাংলায় ভাষ্যপাঠ করতো। যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর ছিল। তখনকার দিনে আজকের মতো টিভি বা ইন্টারনেট ছিলনা। খেলা দেখার জন্য কোন লাইভ স্পোর্টস স্ট্রিমিং এর ব্যবস্থাও ছিলনা। তাই ঘরে ঘরে, দোকানে বা ক্লাবে রেডিও শোনার একটা বিশেষ প্রচলন ছিল৷ ফলে রেডিওতে আকাশবাণী চ্যানেলে বাংলাতে খেলা চলাকালীন ভাষ্যপাঠ শুনতো লোকে। সেইদিন কোথায় যেন হারিয়ে গেছে৷ 

এখন সেভাবে বাংলাতে ভাষ্যপাঠ হয়না। ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে শেষবারের মতো ২০১৩ সালে বাংলায় ভাষ্যপাঠ শোনা গিয়েছিল। দীর্ঘ ছয় বছর পর আবারো বাংলাতে ভাষ্যপাঠ শোনা গেল। ক্রিকেটে আজকাল ভাষ্যপাঠ না শোনা গেলেও ফুটবলে একমাত্র বাংলায় ভাষ্যপাঠ শোনা যায়। ক্রিকেটে ম্যাচের লাইভ ভাষ্যপাঠ অনেক দিন পর ফেরার কারণে গোলাপি-টেস্ট বাংলাতে নতুন ঐতিহ্য বহন করলো।

আকাশবাণী থেকে সরাসরি খেলা চলাকালীন বাংলাতে ভাষ্যপাঠ করা হয়। বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরার আগরতলা ও আসামের গুয়াহাটি ও শিলচরে বাংলায় ভাষ্যপাঠ শোনা যায়। পাশাপাশি এফ এম গোল্ডেও বাংলাতে ভাষ্যপাঠ শোনা যায়। কেন্দ্র সরকারের অধিকর্তা প্রসার ভারতী বাংলাতে ভাষ্যপাঠের অনুমতি দেয়নি। আকাশবাণী কলকাতা তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও দেওয়া হয়নি অনুমতি। সবশেষে বাঙালিদের মধ্যে গোলাপি টেস্ট নিয়ে প্রচন্ড উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকার বাংলাতে ভাষ্যপাঠ করার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।   

দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে খেলা চলাকালীন তাদের নিজস্ব ভাষাতেই ভাষ্যপাঠ হয়। অথচ এ রাজ্যে বাংলা ভাষায় আন্তর্জাতিক খেলাতে বাংলায় ভাষ্যপাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সকল রাজ্যই যখন নিজেদের ভাষার অধিকার কায়েম করছে তখন বাংলাকেও এগিয়ে আসতে হবে অধিকার হরণের লড়াই তে। বাঙালিদের মনে গোলাপি টেস্টের চরম উত্তেজনার জেরে বাংলাতে ভাষ্যপাঠ ফিরে এলো। আগামীদিনে যাতে সব ম্যাচে বাংলায় ভাষ্যপাঠ বজায় থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালিকে।  
     
প্রতিবেদন- সুমিত দে                                             
                         
           


No comments