Header Ads

উৎসবের মরশুমে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা জমে উঠুক সাথে থাকুক সুরুচি চানাচুর। লিটারেসি প্যারাডাইসের খোলামেলা সাক্ষাৎকারে সুরুচি চানাচুরের ফাউন্ডার অশোক পাল


বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা সুরুচি চানাচুর। যার স্বাদে মুখে রুচি এনে দিতে পারে আপনারও।  সুরুচি চানাচুরের ফাউন্ডার হলেন অশোক পাল। লিটারেসি প্যারাডাইসকে দেওয়া একটি খোলামেলা সাক্ষাৎকার রইল আপনাদের জন্য।  


           
লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনাদের চানাচুর কোম্পানির নাম সুরুচি রাখার কারণ কী?

অশোক পাল- সুরুচি কোম্পানিটা আমার বাবা শুরু করেছিল বাহান্ন বছর আগে৷ তখন প্রোডাক্ট হিসেবে প্রথমে মুখরোচকটাই ছিল৷ মুখে নেই রুচি, আছে সুরুচি এটা আমাদের কোম্পানির ট্যাগলাইন৷ সুরুচি ওখান থেকেই শুরু হয়েছিল। 
       
লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনারা এসএসডি ভেঞ্চার্সের সাথে শ্যামা সম্মান ইভেন্টে স্পনসর করেছেন৷ এই ইভেন্টের সাথে যুক্ত হতে পেরে আপনাদের কেমন লাগলো?



অশোক পাল- খুবই ভালো লেগেছে৷ খুবই ফ্রেন্ডলি তারা। আর একটা কথা বলবো এরকম যত জায়গায় স্পনসর করেছি তার মধ্যে এটাই বেস্ট।    

লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনারা ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে চানাচুরকেই কেন বেছে নিলেন?

অশোক পাল- দেখুন এটা বাহান্ন বছরের পুরানো কোম্পানি। তখন মুখরোচক হিসেবে কম্পিডিটার হিসেবে একমাত্র চানাচুর ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। চানাচুর তখন খুব বিখ্যাত ছিল৷ ফলে রুচির একটা ব্যাপার আছে। মুখরোচক জিনিসও আছে। ভুজিয়াটা আমাদের যখন শুরু হয়েছিল তখন হলদিরামই একমাত্র ভুজিয়াটা করতো। ওদের সাথে সাথে আমরাও ভুজিয়াটা বানাতাম। হলদিরাম আর আমাদের ভুজিয়াই বিক্রি হতো তখন। সেই থেকে পণ্য হিসেবে চানাচুরকেই বেছে নেওয়া। 


  
লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনাদের কোম্পানির পথচলা কীভাবে শুরু হয়?

অশোক পাল- বাহান্ন বছর আগে আমার বাবা স্টোভে চানাচুরটা তৈরি করেছিল প্রথমে। ওখান থেকে আস্তে আস্তে প্রোডাকশন বাড়াতে বাড়াতে মার্কেটিং শুরু হয়েছিল বড়বাজার, শিয়ালদাতে। তারপর লোকাল মার্কেট ধরতে ধরতে ব্যবসার সাথে প্রোডাকশন বেশ ভালোভাবে চলতে থাকে৷ আমাদের প্রথম ফ্যাক্টরি খোলা হয় রামলাল আগরওয়াল লেনে। এরপর দ্বিতীয় ফ্যাক্টরি খোলা হয় এ.কে. মুখার্জি রোডে। তারপর থেকে আমরা নিজেরাই প্রোডাক্ট সাপ্লাই দিতে পারতাম। সেই থেকে আমাদের বিজনেস এই জায়গায় দাঁড়িয়েছে।                

লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনারা চানাচুর জাতীয় আর কী কী মুখরোচক খাবার প্রোডাক্ট হিসেবে রেখেছেন?



অশোক পাল- চালভাজা, ভুজিয়া, নিমকি, মিষ্টি, গজা, কায়দানা আছে। এছাড়াও রিসেন্টলি আমরা আরো নতুন কিছু প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে চলেছি। আপাতত পেস্ট্রিটা রিসেন্টলি লঞ্চ করার জন্য প্ল্যানিং এর মধ্যে আছে। 
      
লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনাদের কোম্পানির লক্ষ্য কী?

অশোক পাল- আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো এক্সপোর্টিং৷    

লিটারেসি প্যারাডাইস- সুরুচি চানাচুর খাদ্যরসিকদের কতটা মন ভরাতে পারবে বলে আপনার মনে হয়?

অশোক পাল- আমাদের কিন্তু প্রোডাক্টের রিভিউ দশের মধ্যে নাইন পয়েন্ট এইট আছে বাজার মূল্য হিসেবে৷ ভবিষ্যতে এর চেয়েও প্রোডাক্ট বেটার কোয়ালিটির হবে বলে আশা রাখছি।  
       
লিটারেসি প্যারাডাইস- পুজো-পার্বণ বা উৎসবে আপনারা কীভাবে আপনাদের কোম্পানিকে প্রমোট করতে চান?



অশোক পাল- আমরা এই বছর সুরুচি চানাচুরকে পুজোতে মোটামুটি প্রমোট করেছি কিছুটা ব্যানার হোর্ডিং দিয়ে।পরের বছর আমরা প্ল্যান করেছি কিছু স্টল নিয়ে অন্যান্য প্রোডাক্ট লঞ্চিং করার।পরের বছর থেকে কিছু মাস্টারপ্ল্যান নিয়েই আমরা আমাদের প্রোডাক্টকে প্রমোট করতে চাই। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments