Header Ads

যশোর রোডের গাছ বাঁচাতে সুপ্রীম কোর্টে মামলার খরচ সংগ্রহে আয়োজিত হলো সঙ্গীতানুষ্ঠান বৃক্ষমঙ্গল


পরিবেশ না বাঁচলে বাঁচবে না মানুষ বাঁচবেনা পৃথিবী। তবু কান্ডজ্ঞানহীনভাবে মানুষ গাছ কেটেই চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে আসতে পারে ভয়ংকর দুর্ঘটনা যা মানবসমাজের গতিপথকে চিরতরে রুদ্ধ করে দিতে পারে। মানুষের লোভ লালসা ধ্বংস করছে একের পর এক বন-জঙ্গল।কখনও আমাজন পুড়ছে তো কখনও ঝুম চাষে বন নষ্ট হচ্ছে। 


একই ভাবে মানুষের কান্ডজ্ঞানহীনতার সম্মুখীন হতে হয়েছে যশোরের গাছগুলিকে। যে গাছগুলি মানুষকে ছায়ায় ভরিয়ে দেয় সেগুলির উপর পড়ল মানুষের কু-নজর। রাস্তা সম্প্রসারণের নামে কেটে ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু তা হতে দেয়নি সচেতন কিছু মানুষ। আন্দোলনে সামিল হতে থাকেন যুবক থেকে খুদে সকলে। গঠিত হয় 'যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি'। এগিয়ে আসে একের পর এক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। তিন বছর ধরে চলছে এই আন্দোলন। চলছে আইনি লড়াই। হাইকোর্ট ছেড়ে লড়াই পৌঁছে গেছে সুপ্রীম কোর্টে। 


কিন্তু আইনি লড়াই চালাতে প্রয়োজন অর্থের। এই অর্থের সন্ধান দিতেই অনুষ্ঠীত হলো সঙ্গীতানুষ্ঠান 'বৃক্ষমঙ্গল'। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে 'যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি'। 

২৫ শে সেপ্টেম্বর মধ্যমগ্রামের নজরুল শতবার্ষিকী সদনে অনুষ্ঠীত হয় বৃক্ষমঙ্গল। অনুষ্ঠানে বিক্রিত টিকিট মূল্য ব্যবহৃত হবে আইনি লড়াইয়ের জন্য। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিন বিখ্যাত লোকশিল্পী। এতে উপস্থিত ছিলেন অর্ক মুখার্জী যিনি ইউরোপ, অ্যামেরিকায় ঝড় তোলেন। যিনি স্প্যানিশ গিটার হোক বা ইউকেলেলে সবেতেই সুর তোলেন তারের যাদুতে ঝংকার তুলে। বাংলাদেশ বা স্কটল্যান্ড বা সানফ্রান্সিস্কোর ভক্তদের যিনি মাতিয়ে দেন বা দিচ্ছেন। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত শারদ ও দোতারা বাদক সাত্যকি ব্যানার্জি। তিনি শারদ ও দোতারার পাশাপাশি রেবাবের মতো বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বাউল ও কীর্তন গেয়ে যিনি মানুষের মন জয় করেছেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সারেগামাপা খ্যাত বাউল শিল্পী তীর্থ ভট্টাচার্য।


যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় লিটারেসি প্যারাডাইস। বিশ্ব বাঁচাতে এভাবেই হাতে হাত মিলিয়ে লড়তে হবে দুষ্ট শক্তির বিরুদ্ধে। আমাদের আশা একদিন এমন সমাজ গঠিত হবে যেদিন সব মানুষ একসাথে বলবে-
                             
ঘরটা একটু অগোছালো থাক
উঠোনে একটু ধুলো
ইটে ইটে গাঁথা প্রাচীরের পরে
বন্য লতাটি তুলো

প্রতিবেদন- অমিত দে

No comments