Header Ads

"আমার পরিকল্পনা হলো লম্বা দৌড়ের ঘোড়ার মতো ছবি বানিয়ে অন্যকে অভিনয় করিয়ে মানুষকে মনোরঞ্জন দেওয়া।" মুখোমুখি এ প্রজন্মের এক প্রতিভাবান চলচ্চিত্র পরিচালক দ্বীপাঞ্জন রায়ের সাক্ষাৎকার

"আমার পরিকল্পনা হলো লম্বা দৌড়ের ঘোড়ার মতো ছবি বানিয়ে অন্যকে অভিনয় করিয়ে মানুষকে মনোরঞ্জন দেওয়া।" মুখোমুখি পরিচালক দ্বীপাঞ্জন রায়। আসছে তার নতুন বাংলা ছবি "মালাবদল"। লিটারেসি প্যারাডাইসের নেওয়া দ্বীপাঞ্জন রায়ের একটি সাক্ষাৎকার। 


লিটারেসি প্যারাডাইস- আসতে চলেছে আপনার পরিচালিত  ছবি "মালাবদল"। এই ছবিটি নির্মাণ করতে পেরে আপনার কেমন লাগছে?

দ্বীপাঞ্জন রায়- আপাতত খুবই ভালো লাগছে। কারণ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এটা আমার ড্রিম প্রজেক্ট ছিল। আমি বাংলাতে এমন একটা শর্টফিল্ম বা এমন কিছু কাজ করবো যেটাতে ফিচার ফিল্মের অনুভূতি থাকবে। মানুষ যখন হয়তো শর্টফিল্মটি ইউটিউবে দেখবেন তখন হয়তো কোথাও না কোথাও অনেকের ইচ্ছে করবে যে এটা তো পপকর্ণ নিয়ে বসেও দেখতে পারতাম। আমি ঐ ইচ্ছেটার যে অনুভূতি সেটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার তো খুবই ভালো লাগছে।   

লিটারেসি প্যারাডাইস-  আপনার জীবনের স্বপ্ন কী সফল চলচ্চিত্র পরিচালক হওয়া নাকি এর বাইরেও আরো অনেক কিছু করবেন বলে ভেবেছেন? 

দ্বীপাঞ্জন রায়- আমার স্বপ্ন নানা কেন্দ্রীক। কিন্তু পরিচালনা নিয়ে স্বপ্ন নয়, এটাই বাস্তব। আমি মূলত যে পরিচালনার কাজ ছাড়াও যে জিনিসটাতে ফোকাস করতে চাই সেটা হলো অভিনয়। পরিচালনাটা আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেটা আমি করি। তবে পরবর্তীকালে অভিনয়টাকেই পেশা হিসেবে ব্যবহার করবো। তার মানে এই নয় যে পরিচালনাটাকেও একা ফেলে রাখবো। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনার কাজও চালিয়ে যাবো।       
  
লিটারেসি প্যারাডাইস- ফিল্ম বানানোর অনুপ্রেরণা কার কাছ থেকে পেয়েছেন?

দ্বীপাঞ্জন রায়- অনুপ্রেরণা বলতে গেলে আজকে সকলের কাছ থেকেই পেয়েছি। আমাদের শ্রদ্ধেয় পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে। তাছাড়াও আমি যার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি তিনি হলেন পরিচালক মৈনাক ভৌমিক৷ যার ফিল্ম কনসেপ্ট, মেকিং, ডাইরেকশন আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। এমনকি ছোটোবেলা থেকে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা দেখছি। তো পরিচালনার একটা ব্যাপার থেকেই যাচ্ছে। 


লিটারেসি প্যারাডাইস-  আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? 

দ্বীপাঞ্জন রায়- আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে আপাতত আমি এখন কাজ করবো। আমি কী সফলতা পাবো সেইদিকে যেতেও চাইনা। আমি আমার কাজটা রাখতে চাইছি। এবার মানুষ কীভাবে নেবে বা দর্শকেরা আমাকে কতোটা সাপোর্ট করবে না করবে সেটা মানুষের ব্যাপার। আমার পরিকল্পনা হলো লম্বা দৌড়ের ঘোড়ার মতো ছবি বানিয়ে অন্যকে অভিনয় করিয়ে মানুষকে মনোরঞ্জন দেওয়া।   
    
লিটারেসি প্যারাডাইস- "মালাবদল" ছবিটি নিয়ে আপনি কতটা এক্সাইটেড?

দ্বীপাঞ্জন রায়- আমি এই ছবিটি নিয়ে প্রচন্ড এক্সাইটেড। কারণ একটা তো এক্সপেকটেশন থেকেই যায় জীবনে যে এই ছবিটি যেন লোকের খুব ভালো লাগে৷ একজন পরিচালক হিসেবে যখন "মালাবদল" ছবিটা করছি কালকে যখন অন্য ছবি করবো তখন চিন্তা থেকেই যায় যে "মালাবদল" এর থেকেও অন্য ছবিটি আরো ভালো করবো। এটাই এক্সপেকটেশন যে অন্য কাজগুলোর তুলনায় "মালবদল" হয়তো ভালো হবে৷ লোকের কাছ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পাবো এই এক্সপেকটেশন নিয়েই এগিয়ে চলতে চাই।    
             
লিটারেসি প্যারাডাইস- "মালাবদল" দর্শকদের কতটা মনের গভীরে পৌঁছাতে পারে বলে আপনার মনে হয়?    

দ্বীপাঞ্জন রায়- মনের গভীরে যাওয়ার থেকেও এই ছবিটি রিয়েলাইজেশনের জায়গা। আমরা দেখেছি মানুষ দাম্পত্য জীবনে যেগুলো করে থাকে সদ্য বিয়ে হওয়ার পর, আমরা সেগুলোই ছবিতে দেখাতে চেয়েছি৷ এটাতে মনের গভীরে যাওয়ারও মতো কিছু নেই। আপনারা সিনেমাটি দেখার পর বুঝতে পারবেন যে ছবিতে মূলত রিয়েলাইজেশনকেই বেশি করে ফোকাস করা হয়েছে। 


লিটারেসি প্যারাডাইস- আপনার বৈবাহিক জীবনকে ছবির বিষয় হিসেবে ভাবার কারণটা যদি একটু বলেন?


দ্বীপাঞ্জন রায়- আমি আমার আশেপাশের মানুষগুলোর মধ্যেই অনেকদিন ধরে জিনিসটা লক্ষ্য করেছিলাম। এক একটা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এক একটা নিত্যনতুন সমস্যা। সেই যে নিত্যনতুন সমস্যাগুলো তারা কীভাবে তৈরি করে। এখান থেকে আমার একটা কিউরেসিটি কাজ করলো যে এটা থেকে কেন আমি ছবি বানাতে পারিনা। তারপর ঐভাবেই ছবিটা বানানো।       
        
লিটারেসি প্যারাডাইস- "মালাবদল" ছবিতে যে সমস্ত  অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন। এনাদের  সাথে কাজ করতে পেরে আপনার কেমন লাগলো?

দ্বীপাঞ্জন রায়- খুব ভালো লেগেছে। কারণ এনারা সবাই থিয়েটার জগৎ থেকেই এসেছেন। তাদের সাথে কাজ করে খুবই ভালো লাগলো। এমনিতেই নতুন কারোর সাথে কাজ করার মজাই আলাদা। কারণ ওরা নিজেদেরকে এখনো ওভাবে গড়তে পারেনি৷ আমি তাদের নিজের হাতে গড়েছি সেটাই আমার কাছে একটা বিশাল বড়ো অ্যাচিভমেন্ট৷ আমি তাদের যে জায়গাটা দিয়েছি তারা সেই জায়গাটা নিয়েছে অভিনয়ের জন্য আমার কাছ থেকে। তো আমার এককথায় বেশ দারুণ লেগেছে।

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments