Header Ads

আরণ্যক ও সাম্যর প্রথম গোয়েন্দাগিরি 'আরণ্যক ও মুদ্রারাক্ষস'

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে গোয়েন্দা ছবি বানানোর প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর বিশেষ কারণ হলো বাঙালি দর্শকদের কাছে রহস্য, সাসপেন্সে মোড়া গল্পের প্রতি প্রবল আগ্রহ।

বড়পর্দা থেকে ওয়েবজগৎ সর্বত্র গোয়েন্দা ছবির ভিড়ে ঠাসা। আজকাল বাংলাতে হইচই, আড্ডা টাইমস ও জি ফাইভের মতো জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গোয়েন্দা গল্প নিয়ে ছোটো ছবি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সিরিজ বানানো হচ্ছে। 

বাংলার গোয়েন্দা বলতে এতোদিন বেশিরভাগ মানুষ ব্যোমকেশ বক্সী, ফেলুদা, কাকাবাবু ও সন্তু, কিরিটি এনাদেরকেই দেখে এসেছেন। কিন্তু তাদের এখনো অনেক গোয়েন্দাকেই চিনতে বাকী রয়েছে। এখন পুরানো গোয়েন্দা চরিত্রের পাশাপাশি সিনেমা ও সিরিজে নিত্যনতুন গোয়েন্দা চরিত্রের আবির্ভাব ঘটছে। ২০১৮ তে নবাগত পরিচালক ধ্রুব বন্দোপাধ্যায় 'সোনাদা' নামক একটি গোয়েন্দা চরিত্রের জন্ম দিয়েছেন। তবে এ গোয়েন্দাকে তিনি রূপোলী পর্দার জন্য বানিয়েছেন। 'গুপ্তধনের সন্ধানে'র মধ্য দিয়ে শুরু হয় 'সোনাদা'র গোয়েন্দাগিরি। 

ঠিক এরকম ভাবেই এবার বাংলার ওয়েব দুনিয়াতে যোগ হতে চলেছে নতুন পালক। শুরু হতে চলেছে 'আরণ্যক' ও 'সাম্য'র গোয়েন্দাগিরি। আসছে নতুন বাংলা ছবি 'আরণ্যক ও মুদ্রারাক্ষস'।   

পরিচালক বসু দেব নিয়ে আসছেন নতুন গোয়েন্দা ওয়েব সিরিজ। যে সিরিজের প্রথম ছবি হতে চলেছে 'আরণ্যক ও মুদ্রারাক্ষস'। ছবির কাহিনী দুই স্কুল পড়ুয়ার গোয়েন্দাগিরি নিয়ে। আরণ্যক ও সাম্য নামের দুটি ছেলে। যারা একে ওপরের ভালো বন্ধু। গল্পের সূত্র কলকাতার একটি স্কুলে পাওয়া রহস্যময় মুদ্রাকে নিয়ে। স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আরণ্যকের মগজাস্ত্রের লড়াই হলো এ ছবির প্রধান উদ্দেশ্য। 

আরণ্যক ও সাম্যের গোয়েন্দাগিরি ধরা পড়বে পরবর্তী বেশ কিছু ছবিতে। আপাতত পরিচালক বসু দেব ব্যস্ত 'আরণ্যক ও মুদ্রারাক্ষস'কে ঘিরে। তিনি জানিয়েছেন যে আগামী কয়েকটি পর্বের প্রেক্ষাপট সাজাবেন পাহাড় ও জঙ্গল দিয়ে। 



এই সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যাবে আরিয়ান ভৌমিক, অরুণাভ দে ও মনোজ মিশিগানকে। আরণ্যকের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে 'কাকাবাবু ও সন্তু'র 'মিশর রহস্য','ইয়েতি অভিযান' খ্যাত অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিককে। সাম্যর ভূমিকায় থাকছে 'তৃতীয় অধ্যায়' খ্যাত অভিনেতা অরুণাভ দে। এ ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা মিলতে চলেছে এইট্টি নাইন, আমি জয় চ্যাটার্জি,তৃতীয় অধ্যায় চলচ্চিত্রের পরিচালক মনোজ মিশিগানকে।

প্রতিবেদন-সুমিত দে  

No comments