জাতিসত্ত্বা আগে না অর্থ আগে ?
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে
বাঙালি জাতি প্রাণপণে লড়াই চালিয়েছিল।তাদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ভীত নড়ে গিয়েছিল
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের।
আমরা বর্তমানে স্বাধীন দেশে
বসবাস করি। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা কী আমরা বাঙালিরা পেয়েছি? না, আমরা বাঙালিরা পায়নি।
আজ বাঙালির ওপর থাবা বসাচ্ছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বাঙালিরা বাংলা ভাষা বললে একদল বিহারী বাংলাদেশী বলে এপারের বাঙালিদের অপমান করছে। বাংলাদেশের সাথে এপারের বাঙালিদের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের ভাষা আর আমাদের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক, জাতি এক। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের যে বন্ধুত্ব তা খর্ব করতে চাইছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ। এর দায় শুধু ওদেরই নয়। আমাদের বাংলাতে থাকা কয়েকজন কুলাঙ্গারসম অশিক্ষিত বাঙালিরা বাংলা ভাষাকে বিকিয়ে দিচ্ছে। নিজ জাতিসত্ত্বাকে বিক্রি করে দিচ্ছে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা যেখানে বাঙালিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিশাল পূজোর আয়োজন করে। এই উৎসবে বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রসার ঘটে। বর্তমানে খানকয়েক অবাঙালি বাংলাতে এসে অবাংলা ভাষাতে পূজোর স্পনসর করে দুর্গাপূজাতে বাঙালিয়ানা শেষ করে দিতে চাইছে। আর একদল মূর্খ বাঙালি সেগুলো মেনে নিচ্ছে৷ বাংলাতে বাংলাভাষাই অবাঙালি কোম্পানি স্পনসর করুক সেকথা তাঁরা ভুলে যান। দুটাকার জন্য এঁরা বাঙালি জাতিয়তাবাদকে বিকিয়ে দিচ্ছে।
ঠিক এমনটাই ঘটলো ২০১৮ তে। সন্তোষপুর লেকপল্লীর
দুর্গাপূজাতে জে.কে মশালা নামের একটি গুজরাটি কোম্পানী স্পনসর করতে চলেছে। জে.কে মশালা হলুদের থিম
বানানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ সন্তোষপুর লেকপল্লীর সাথে। কোম্পানিটি হলদি কা পান্ডেল শিরোনামের ব্যানার লাগিয়ে দুর্গাপূজার
আয়োজন করতে চলেছে। কিন্তু সন্তোষপুর লেকপল্লীর মানুষেরা বাঙালি হয়েও একবারও প্রতিবাদ করেনি
বাংলাতে কেন নাম দেওয়া হলো না হলুদের মন্ডপ। এদের কাছে অর্থটাই বড়ো
হলো, ভাষাটা বড়ো হলোনা। অর্থই যদি সব হয়, তাহলে কেন এ দূর্গাপূজোর আয়োজন? অর্থ দরকার হলে পরে গিয়ে
ব্যবসা করুন। তাই বলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে অবাঙালির কাছে বাঙালি মানসিকতাকে বিসর্জন
দিয়ে দেবেন না।
বাঙালি সাবধান হোন। নাহলে সেইদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা বাঙালি হয়েও এপার বাংলার মাটিতে বাংলাভাষা বলতে পারবো না। নিজের মায়ের ভাষার প্রতি এতো অনীহা কেন? আপনারা ভুলে যাবেন না " নির্গুণ স্বজন শ্রেয়, পর পর সদা।" নিজের ঘর চাইতে বড়ো কিছু নেই। পর সবসময় পরই থাকে। অতএব পরকে আপন করতে যেওনা।
বাঙালি তাঁর নিজস্ব ভাষার অধিকার ফিরে পাক। শিরায় শিরায় জেগে উঠুক উত্তপ্ত বাঙালির রক্ত। হলদে কা পান্ডেল থেকে মন্ডপের নাম হোক হলুদের মন্ডপ। অসংখ্য বাঙালি পথে নামছে, নেমে দাবী করছে। তবুও ঘুমন্ত বাঙালির ঘুম ভাঙ্গছে না। এবার সময় এসে গেছে বাঙালির জেগে ওঠার। জাগো বাঙালি জাগো। ওঠো, জাগো, নিজের প্রাপ্য বুঝে নাও। হোক লড়াই, হোক প্রতিবাদ। বাঙালি আপনার নিজের ভাষার অধিকার ছিনিয়ে নাও।
প্রতিবেদন-সুমিত দে
khali uskaani
ReplyDeletelokjon ki etoi boka je kichu matha khrap kaj kormo nei tader kathai nachbe
আপনার হয়তো জাতিসত্ত্বা নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই তাই হয়তো এমনটা বলতে পারছেন। লোকজন তো বোকামি অবশ্যই করছে। নিজের জাতিসত্ত্বাকে অন্যের কাছে বিকিয়ে দেওয়া নিছক নির্বোধের কাজ।
Delete