Header Ads

২৫১ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন কৃষ্ণনগরের বুড়িমা


নৈহাটির বড়মা'র মতো জনপ্রিয় আরেক মাতৃ প্রতিমা হলো কৃষ্ণনগরের বুড়িমা। নৈহাটির বড়মা যেমন এক বিশালাকার কালীমূর্তি তেমনই কৃষ্ণনগরের বুড়িমা বিশালাকার এক জগদ্ধাত্রী মূর্তি। কৃষ্ণনগরের এক ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো হলো বুড়িমা'র পুজো। ২৫১ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন বুড়িমা। বাংলার এক প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো হলো বুড়িমা'র পুজো। এতো শত বছর পরেও এই পুজোর জৌলুস এতটুকুও কমেনি। কৃষ্ণনগরের পুতুল শিল্পের মতো কৃষ্ণনগরবাসীর গর্বের আরেক নাম বুড়িমা।


চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই বিখ্যাত কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোও। এই পুজো দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন। কৃষ্ণনগরের বুড়িমা'র দেশজোড়া খ্যাতি রয়েছে। বুড়িমা'র বহু ভক্তের বিশ্বাস যে বুড়িমা'র পুজোর প্রসাদ খেলে নাকি মনস্কামনা পূরণ হয়। নবমী তিথি থেকে শুরু হয় বুড়িমা'র পুজো। বুড়িমা'র এক অপূর্ব রূপ। যে রূপের টানে বহু মানুষ এখানে ছুটে আসেন।

কেউ বলেন ১২ কেজি, কেউ বলেন ৯ কেজি গহনা দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয় বুড়িমাকে। বিশাল পুলিশের পাহারায় মুড়ে রাখা হয় বুড়িমা'র মূর্তিকে। দেবীর দর্শনের জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায়। কেবল দর্শনই নয়, পুজোর প্রসাদ খাওয়ার জন্যও ভিড় লেগে যায়। দেবীর ভোগ খাওয়ার জন্য এখানে তুমুল উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। এই বছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার জনের ভোগ খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

কলকাতার দুর্গাপুজোর বিসর্জনের মতো এবছর কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতেও কার্নিভাল করা হয়েছে। পুরানো রীতি মেনে বুড়িমা কাঁধে চেপে রাজবাড়ী ঘুরে শহর পরিক্রমা করার পর জলঙ্গি নদীতে বিসর্জনে যাবে৷ তবে কার্নিভালে ঘট, ট্যাবলো সহ বিশেষ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা

No comments