বাংলা ভাষা আন্দোলনের ফলে ঝাড়খন্ড জুড়ে ফিরছে বাংলা
ঝাড়খন্ডের জামতাড়া, চন্দনকিয়ারী, চাষ, ধানবাদ, ঘাটশিলা, বোকারো, গিরিডি, মধুপুর, বৈদ্যনাথ ধামের মতো জায়গাগুলো আজীবন কাল ধরেই বাংলা ভাষা চর্চার পীঠস্থান ছিল। বাংলার জনপ্রিয় কবিতা কবি শঙ্খ ঘোষের মিথ্যে কথার একটি বিখ্যাত লাইন 'ঘাটশিলাতে যাবার পথে ট্রেন ছুটছে যখন/ মায়ের কাছে বাবার কাছে করছি বকম বকম'। ঘাটশিলার বিভূতিভূষণের বাড়ি, কার্মাট্যান্ডে বিদ্যাসাগরের বাড়ি এরকম বহু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে বাঙালির।
মানভূম ভাষা আন্দোলনের সময় জামতাড়াতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। জামশেদপুর, বোকারোতে, হাজারিবাগে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন হয়েছে বারবার। কিন্তু তারপরেও বাংলা ভাষার অবনমন শুরু হয় ঝাড়খন্ডে। একের পর এক বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় রূপান্তরিত হয় হিন্দি মাধ্যমে। বাঙালির ভাষা মুছে ফেলা হয় রেল স্টেশন থেকেও।
কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর বাঙালি আবার তার নিজের জায়গা নিজের অধিকার বুঝে নেবার জন্য এক হতে শুরু করেছে। গোমো স্টেশনের নাম অনেক আন্দোলনের ফলে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নামে করা হয়। এই কয়েক মাসে রেল স্টেশন, মন্দির, স্কুল কলেজেও বাংলা লেখা হয়েছে আন্দোলনের ফলে।
প্রায় এক হাজার অপুর পাঠশালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ঝাড়খন্ড বাংলা ভাষা উন্নয়ন সমিতি। হাজার হাজার শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বর্ণপরিচয়। বাংলা ভাষার অধিকারের দাবিতে ২২ শে সেপ্টেম্বর সব বাংলা ভাষা সংগঠন একত্রে জামশেদপুর থেকে রাঁচি পর্যন্ত ১২০ কিমি পদযাত্রার ডাক দিয়েছে। বাংলা ভাষা তার হৃতগৌরব ফিরে পাবে এমন আশাতেই বুক বাঁধছেন ঝাড়খন্ডের ভূমিসন্তান বাঙালিরা।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment