Header Ads

মুক্তির পর 'কথামৃত' এর ঝুলিতে পরপর ৪ টি পুরস্কার, আনন্দে ভাসছেন কৌশিক গাঙ্গুলী


পরিচালক জিৎ চক্রবর্তীর ছবি 'কথামৃত' দর্শকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মুক্তির পর থেকেই তুমুল ভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে 'কথামৃত'। ছবির এই নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একরাশ আবেগ। সম্পর্কের এক মধুর গল্প বলা হয়েছে এই ছবিতে। "জীবন আর কিছুই নয়, কিছুটা মানিয়ে নেওয়া বাকিটা বানিয়ে নেওয়া"- ছবির মাধ্যমে এই বার্তাটাই বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সম্পর্ক নিয়ে বাংলাতে নজরকাড়া বহু ছবি তৈরি হয়েছে কিন্তু 'কথামৃত' সবার থেকে আলাদা। এটি একপ্রকার মাস্টারপিস ওয়ার্ক।  


গল্পের প্রেক্ষাপট কিছুটা এমন, নিজেদের পাড়ার আদর্শ স্বামী-স্ত্রী সনাতন ও সুলেখা। ছেলে ঋককে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার। তাঁদের এই ভালোবাসায় ভরা পরিবারকে পছন্দ করেন এলাকার সমস্ত মানুষ। সনাতন কথা বলতে পারেন না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পরিচিত ব্যক্তিরা তাঁর মনের ভাব বুঝতে পারেন। তবে মনের কথা বলার জন্য তিনি একটি পকেট ডায়রি সবসময় সঙ্গে রাখেন। সেই ডায়রিটিকেই তিনি 'কথামৃত' নাম দিয়েছেন। 

ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক গাঙ্গুলী এবং অপরাজিতা আঢ্য। ছবিতে কৌশিক গাঙ্গুলী ও অপরাজিতা আঢ্য স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁদের এই জুটি রূপালী পর্দায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এ ছবির সবচেয়ে বড়ো পাওনা হলো তাঁদের মনোমুগ্ধকর অভিনয়। আর সাথে এ ছবির গান এ ছবিকে আরো বেশি বর্ণময় করে তুলেছে। 

শুধু কৌশিক গাঙ্গুলী ও অপরাজিতা আঢ্যই নয়, ছবিতে আরো দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন বিশ্বনাথ বসু ও অদিতি চ্যাটার্জি। ছবির পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী জানান "এটি কৌশিক গাঙ্গুলী ও অপরাজিতা আড্যের এক অনন্য জীবনের গল্প। মানুষের জীবনে কথা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নিয়ে এই ছবি। প্রতিটি সম্পর্কের বুননে কথার গুরুত্ব এই "কথামৃত"।

গত ১৮ ই নভেম্বর জালান প্রোডাকশনের ব্যানারে প্রীতম জালানের প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছে 'কথামৃত'। এবার এ ছবির ঝুলিতে এলো পরপর চারটি পুরস্কার। নানান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হচ্ছে এই ছবি। বেস্ট ফিল্ম, বেস্ট অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলী, বেস্ট ডিরেক্টর জিৎ চক্রবর্তী, বেস্ট অরিজিনাল স্টোরি ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে এই ছবি। কেবল পরিচালক নয়, অভিনেতা হিসেবেও যে কৌশিক গাঙ্গুলী কতটা সফল তার প্রমাণ আজকে মিলছে। 'কথামৃত' ছবির অভূতপূর্ব সাফল্যে আনন্দে ভাসছেন কৌশিক গাঙ্গুলী৷ 

প্রতিবেদন- সুমিত দে 


No comments