Header Ads

আঠার জগতে আজও রাজত্ব করে বাঙালি কোম্পানি ডেনড্রাইট


ডেনড্রাইট আঠা সম্পর্কে জানেননা এমন কোনো মানুষ কল্পনা করাই জটিল। ছোটোবেলায় বই এর মলাট লাগানো থেকে যে-কোনো জিনিস চেটানো, ঘুড়ি তৈরিতে ডেনড্রাইটের জুড়ি মেলা ভার। ঠাকুরের গহনা তৈরি, বিভিন্ন ধরণের কুটির শিল্প, জুতো তৈরি, চামড়া জাত দ্রব্য, কাঠের আসবাবপত্র তৈরি, অটোমোবাইল সেক্টর, শিপবিল্ডিং, রেলওয়ে কোচ তৈরি, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রায় সব ক্ষেত্রেই ডেনড্রাইটের প্রয়োজন হয়। জুতো তৈরিতে যেসব আঠা লাগে সেই ক্ষেত্রে ভারতের ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে ডেনড্রাইটের।


বাঙালি ব্যবসা পারেনা বলে যে আদ্যপ্রান্ত ধারণা রয়েছে তা বাস্তবে ভুল। ডেনড্রাইটের মতো এরকম অনেক বাঙালি কোম্পানির প্রোডাক্ট রয়েছে যা সম্পর্কে আমাদের বাঙালিদের-ই ধারণা নেই। ডেনড্রাইট বাঙালি ব্যবসার অন্যতম উদাহরণ।

১৯৬৫ সাল থেকে প্রায় দীর্ঘ ৫৭ বছর আঠার জগতে রাজত্ব করে চলেছে ডেনড্রাইট। ডেনড্রাইটকে প্রতিযোগিতা করার মতো একটি কোম্পানিই রয়েছে ভারতে তা হল ফেভিকল। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট লিডার হল ডেনড্রাইট। 

ডেনড্রাইট প্রস্তুত করে থাকে পিসি চন্দ্র গ্রুপের চন্দ্রস কেমিক্যাল এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড।  কলকাতার মোট ৩ টি কারখানা থেকেই তৈরি হয় ডেনড্রাইট। দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যেও রপ্তানি হয়ে থাকে ডেনড্রাইট।

ডেনড্রাইট ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের পলিক্লোরোপ্রিন, পলিইউরিথিন, ইপোক্সি, ইভিএ যুক্ত সিন্থেটিক এঢেসিভ ও বিভিন্ন ধরণের ইলাস্টোমার তৈরি করে থাকে এই কোম্পানি। ডেনড্রাইট ব্র্যান্ডের অন্যতম শ্লোগান হল 'Bonding our World Together'। বাঙালির আবিষ্কার ও ব্যবসা জগতের অন্যতম সফল প্রোডাক্ট হল ডেনড্রাইট, যা বাঙালির গর্ব।

প্রতিবেদন- অমিত দে


1 comment: