Header Ads

বাংলার গ্রাম গঞ্জে অহরহ বেড়ে চলেছে হিন্দি আগ্রাসনের প্রভাব


বাংলার একের পর এক শহরে হিন্দি আগ্রাসন বাড়ছে এটা প্রায় সকলেই চোখে দেখতে পায়। ২০ বছর আগের কলকাতা, শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর, খড়গপুর, টিকিয়াপাড়া, ভাটপাড়া, চিত্তরঞ্জন, ব্যারাকপুর, রাণীগঞ্জ, কল্যাণীতে যতটা বাংলা শোনা যেত আজ তার চেয়ে অনেক কম বাংলা শোনা যাচ্ছে। একের পর এক কারখানা, লজিস্টিকস হাবে বাড়ছে বহিরাগত শ্রমিকদের সংখ্যা।


শহরে হিন্দি আগ্রাসন আজ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে এটা কম বেশি সকলেই জানি। হিন্দি আগ্রাসনে পিছিয়ে নেই গ্রাম বাংলাও। গ্রাম বাংলায় কীভাবে হিন্দি আগ্রাসন বাড়ছে সেটাই আজ দেখা যাক।

গ্রামে থাকা বিভিন্ন ক্লাব, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের সংখ্যা বাড়ছে। ১৫ ই আগস্ট, ২৬ শে জানুয়ারির মতো দিনে বাংলা দেশাত্মবোধক গান বাজানো দিন দিন কমে যাচ্ছে। মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা হচ্ছে বাংলা মিউজিক বাজিয়ে! এই ঘটনা আজ বিরল।

বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলা কমেন্ট্রির পরিবর্তে হিন্দি কমেন্ট্রি বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। ক্লাবের ক্যুইজ অনুষ্ঠানের অডিও ভিজ্যুয়াল রাউন্ড হচ্ছে হিন্দি গানের আবহ সংগীতে। সিনেমা রাউন্ডের প্রশ্নগুলোতেও হিন্দি সিনেমা সম্পর্কিত হচ্ছে। নৃত্যানুষ্ঠানের গান থেকে অর্কেস্ট্রা সবেতেই বাঙালি বাংলা গানের চেয়ে হিন্দি গানকে প্রাধান্য দিচ্ছে বেশি। বিভিন্ন দোকানদানি ও পণ্যের প্রচার গাড়ির বিজ্ঞাপনের মধ্যেও হিন্দি গান ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিয়েবাড়ি থেকে ঠাকুর ভাসানো সব জায়গায় হিন্দি, ভোজপুরির মতো গান বেশি বাজানো হচ্ছে। বড়দিনের পিকনিক থেকে ঝাপান উৎসব সব জায়গায় হিন্দি গানের রমরমা বাড়ছে।

মোবাইলের রিংটোন কিংবা কলারটিউন বা বাড়ির দরজায় বাড়ির নাম সব জায়গায় কমবেশি হিন্দি চোখে পড়ছে। বিভিন্ন গ্রাম সড়কেও হিন্দি মাইলস্টোন ও হিন্দি লেখা বোর্ডের সংখ্যা বাড়ছে। হোটেল অথবা ধর্মকাঁটা কিংবা ঔষধ দোকান হিন্দি লেখা হচ্ছে সব জায়গায়। যার ফলে বিপন্ন হচ্ছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব।

বাঙালিকে বাংলা ভাষার প্রতি যত্ন নেবার সময় হয়েছে নাহলে হয়তো বাংলা ভাষা একদিন ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

প্রতিবেদন- অমিত দে


No comments