Header Ads

দেবীর আবাহনে প্রাণে আনন্দরঙ লাগতে চলেছে ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সার্ব্বজনীনের পুজোতে


পুরুলিয়া জেলার অন্যতম পুজো হলো ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব। বিগত কয়েক বছর ধরে থিমের পুজো বানিয়ে নজর কাড়ছে এখানকার পুজো। দেখতে দেখতে বারো তম বর্ষে পদার্পণ করলো এই পুজো। এ বছর তাদের পুজোর থিম "এবার দেবীর আবাহনে, আনন্দরঙ লাগুক প্রাণে।" 


গত বছর "ঝরা ফুল রাশে রাশে, মা দুর্গার আশে পাশে" নামক একটি অভিনব থিম বানিয়ে সবার নজর কেড়েছিল ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সার্ব্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির পুজো। বিগত বছরগুলির মতো চলতি বছরেও মহা আড়ম্বরে আয়োজিত হচ্ছে এখানকার পুজো৷ বাঁশের ফ্রেম, কাপড় ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে সজ্জিত হয়েছে পুরো মণ্ডপ। বিখ্যাত থিমমেকার রিন্টু দাসের অনবদ্য ভাবনাতে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। 

কোভিডের জন্য হাইকোর্টের বিধিনিষেধ মেনে নির্মাণ করা হয়েছে খোলা মণ্ডপ, যাতে দর্শনার্থীরা সহজেই মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে পারেন৷ এবছর এখানকার মণ্ডপের বিশেষত্ব হলো দিনের বেলা ও রাত্রিবেলায় দুটি ভিন্ন রূপ চোখে পড়বে। রাত্রে আলোর ঝলকানিতে মণ্ডপটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। দূর থেকে মণ্ডপটি দেখলে মনে হবে যেন কোনো এক রংমহল আনন্দের ডালি সাজিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে৷  

এখানকার আলোকসজ্জা থেকে মণ্ডপ যেমন আকর্ষণীয়  তেমনই আকর্ষণীয় প্রতিমা। মৃৎশিল্পী শচীন সূত্রধরের হাত ধরে তৈরি হয়েছে প্রতিমা৷ মণ্ডপের ভেতর প্রতিমা দর্শন করতে যাওয়ার সময় অনেকের মনে হতে পারে দেবী দুর্গা তার দশ হাত দিয়ে যেন আগলে রেখেছেন রংমহলকে। 

শেষ দুই বছর ধরে করোনার তাণ্ডবে মানুষের মধ্যে যে অসহায় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা মানুষ ভুলে যেতে চাইছেন। দুঃসময়ের স্মৃতি মুছে মানুষ উৎসবের মধ্য দিয়ে একটু আনন্দের মহাযজ্ঞে সামিল হতে চাইছেন। উৎসব মানুষের মনকে রঙিন করে তোলে। তাই এই মণ্ডপটিকে রংমহল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। যে রংমহল মানুষকে উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে মেতে ওঠার আহ্বান জানাবে। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

  

No comments