Header Ads

কলকাতায় তৈরি হোক সত্যজিৎ রায় মিউজিয়াম, ইচ্ছেপ্রকাশ বেণুদার


সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র 'ফেলুদা'। যে চরিত্রকে নিয়ে বাঙালির আবেগের যেন অন্ত নেই। সানডে সাসপেন্স থেকে সিনেমার পর্দা, ওয়েব দুনিয়া থেকে ধারাবাহিক ফেলুদাকে নিয়ে নানান ভাবে কাজ হয়েছে। বিদেশে ইংরেজিতে ফেলুদাকে নিয়ে অ্যানিমেশন সিরিজও তৈরি হয়েছে। ফেলুদা নিয়ে হলিউডে ছবিও তৈরি হতে চলেছে। ফেলুদা বাঙালির কাছে একপ্রকার নস্টালজিয়া। আট থেকে আশি ফেলুদা সবার পছন্দ। 


ফেলুদার চরিত্রে সর্বপ্রথম অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কিন্তু পরবর্তীকালে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে দেখা যায় ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করতে। সব্যসাচী চক্রবর্তী ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল প্রশংসা পান। বেশিরভাগ দর্শকদের কাছে ফেলুদা হিসেবে প্রথম পছন্দ সব্যসাচী চক্রবর্তী। ফেলুদার উপন্যাসগুলোর নব্য সংস্করণের মলাটে আজকাল ফেলুদার ছবি হিসেবে আঁকা থাকে সব্যসাচী চক্রবর্তীর ছবি। 

তার প্রিয় গোয়েন্দার চরিত্রের মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে ফেলুদা। কেবল এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্যই যে চরিত্রটি প্রিয় তা কিন্তু নয়। ফেলুদার চরিত্রে অভিনয়ের আগে থেকেই ফেলুদা পড়ছেন তিনি। বাংলা সাহিত্য ও বাংলা সংস্কৃতির প্রসারে এবার যে কলকাতায় একটা ফেলুদা মিউজিয়াম হওয়া খুব দরকার তা তিনি স্পষ্ট করে বলে ফেললেন৷ বহুদিন থেকেই ইচ্ছে ছিল তাঁর কলকাতার বুকে একটা ফেলুদা মিউজিয়াম হোক। 

এতোদিন পর্যন্ত নিজের ইচ্ছের কথা মনের মধ্যেই চেপে রেখেছিলেন তিনি। কখনো সেই ইচ্ছের কথা প্রকাশ করার মতো সাহস ও সুযোগ কোনোটাই হয়নি তাঁর। সেই সুযোগ ইদানীং এসেছে তাঁর কাছে৷ এখন আর তাঁর ইচ্ছের কথা বলতে দ্বিধা নেই। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছের কথা মিডিয়ার উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন তিনি। 

সব্যসাচী চক্রবর্তী ওরফে বেণুদা শুধুই যে ফেলুদার মিউজিয়াম চান এটা বললেও ভুল হবে। তিনি মনে করেন সত্যজিৎ রায় সম্পর্কিত যদি কোনো মিউজিয়াম বানানো যায় তাহলে মস্ত বড়ো একটি কাজ হবে। অস্কার প্রাপ্ত পরিচালকের ব্যবহৃত নানান উপকরণ যেমন তাঁর সিনেমার চিত্রনাট্য, তাঁর হাতে আঁকা পোস্টার, চিঠি, তাঁর সিনেমায় ব্যবহার হয়েছে এমন হাজারো জিনিসপত্র প্রভৃতি হরেক রকমের টুকিটাকি দিয়ে সহজেই একটা অসাধারণ মিউজিয়াম বানানো যেতে পারে। আর মিউজিয়ামটির চাহিদা অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে সংগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে৷ 

বিখ্যাত এই অভিনেতার ইচ্ছেপূরণ হবে কিনা জানা নেই, তবে তাঁর এই ইচ্ছেকে যদি ফেলুদার সমর্থক ও সত্যজিৎ অনুরাগীরা দারুণ ভাবে সমর্থন দেন তাহলে মিউজিয়ামটি গড়ে ওঠার বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments