Header Ads

২ থেকে ৮০ জন কর্মীকে সাথে নিয়ে দাপিয়ে সফটওয়্যার ব্যবসা করছেন অঙ্কিতা নন্দী


মানুষ চাইলে সব কিছুই করতে পারে তার জন্য স্বপ্ন দেখতে জানতে হয়। বছর তিরিশের অঙ্কিতা নন্দী আজ সেক্টর ফাইভে ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে ৮০ জন কর্মীকে সাথে নিয়ে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা করে চলেছেন, সঙ্গে পেয়েছেন তার স্বামী জনকে। এই মুহূর্তে তাদের সফটওয়্যার  টিয়ার ফাইভ টেকনোলজি সলিউশনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০,০০০ জন এবং তার ঝুলিতে রয়েছে ২৫ টি সফটওয়্যার, যা ব্যবসায়ীক সংস্থাগুলিকে বিপণন থেকে বিক্রির কাজে সাহায্য করবে। তবে তাদের ব্যবসা সবটাই বিদেশে। তিনি বলেছেন "আমরা দেশের বাজারে কিছু বিক্রি করি না আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের উন্নত দেশগুলি"।


বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলের ছাত্রী অঙ্কিতা চাকরি করা থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। কলেজ জীবন থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলেন যা করবে নিজেই করবে। এবং তিনি বলেন  "দাদাকে দেখতাম চাকরি সূত্রে সারা দিন কম্পিউটারে ডুবে থাকতে। রাতে বাড়িতে এসে কোনও রকমে খেয়েই ঘুম। সকালে উঠেই আবার দৌড়।" মূলত এই কারণেই  কারণেই তার এই সিদ্ধান্ত।

ভারতীয় রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের মেয়ে অঙ্কিতা কয়েক জন বন্ধুকে জুটিয়ে কলেজের তৃতীয় বর্ষেই বানিয়ে ফেলেন হোয়াটসঅ্যাপ ভিত্তিক ব্যবসায়ে ব্যবহারের উপযোগী একটি অ্যাপ। পশ্চিম এশিয়ায় বেশ ভালোই বিক্রি হয় সেটি। "মাসে হাজার ষাটেক করে পকেটে আসত আমাদের প্রত্যেকের"— জানালেন তিনি। কিন্তু তার পর এগোনোয় আর বাকিদের মধ্যে কোনও উৎসাহ ছিল না। তাই তাঁদের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন অঙ্কিতা।

কলেজ শেষ হওয়ার পর অনলাইন ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার থেকে আলাপ হয় আমেরিকান যুবক জনের সাথে। আর সেটি যেন শাপে বর হয়। আমেরিকার আটলান্টায় জনের সফটওয়্যার ছোট ব্যবসা ছিল। পূর্ব ব্যবসা ধারণা থেকেই দুজনে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন কলকাতায় আর তারা দুজনেই এখন সফল।

তবে এই সাফল্যের রহস্যটি খুব একটা সহজ ছিল না অঙ্কিতা বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রী হওয়ার জন্য অনেকের কাছে তাকে অপমানিত হতে হতো। ফলে তিনি হীনমন্যতায় ভুগেছেন বহুবার। প্রথমে ২০০ বর্গফুটের একটি অফিস ভাড়া নিয়ে দুজন কর্মচারী কে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছেন এই পথচলা তবে কারোর কাছ থেকে নেননি আর্থিক সাহায্য, সবটাই অঙ্কিতার নিজের টাকা। এখনো তাদের অনেকটা পথ চলা বাকি পেরোতে হবে অনেক পথ। অঙ্কিতা তার সাফল্যের প্রসঙ্গে বলেন "স্বপ্ন দেখতে জানতে হয়। তা আঁকড়ে ধরতে হয়"।

প্রতিবেদন- পৌলমী হালদার


No comments