Header Ads

সেবন্তী এন্ড ফ্রেন্ডসের পরিবেশনায় নতুন গান, মুক্তি পেল 'কি জ্বালা দিয়ে গেলা'


ওপার বাংলার এক প্রখ্যাত লোকশিল্পী আস্কর আলী পণ্ডিত। তাঁর লেখা ও সুরারোপিত এক জনপ্রিয় গান হলো 'কি জ্বালা দিয়ে গেলা'। যে গানে দেহতত্ত্বের কথা উঠে এসেছে। একটি সম্পর্কের অতীত ও বর্তমান এই গানের মূল বিষয়। গানের প্রতিটি চরণ হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। লোকমুখে প্রায়শই ঘুরতে থাকে এই গানটি। 


"কি জ্বালা দিয়ে গেলা মোরে, নয়নের কাজল পরানের বন্ধুরে; না দেখিলে পরান পোড়ে।" গানের প্রথম দুটো লাইনেই এতোটাই গভীরতা লুকিয়ে আছে যে গানটি একজন রসবেত্তা কিংবা যে মানুষের মধ্যে রসবোধ একটু বেশি অথবা ব্যর্থ প্রেমীদের পাগল করে দিতে পারে। এটাই তো লোকগীতির বিশেষত্ব। যে গান মাটি ও মানুষের অন্তরের কথা বলে৷ 

সম্প্রতি বেঙ্গল পিকচার্স ইউটিউব চ্যানেলে সম্পূর্ণ নতুন রূপে মুক্তি পেয়েছে 'কি জ্বালা দিয়ে গেলা' গানটি। সেবন্তী এন্ড ফ্রেন্ডসের পরিবেশনায় তৈরি হয়েছে গানটি৷ আমরা সচরাচর যেভাবে এই গানটি শুনে এসেছি এখানে একটু অন্যভাবে গানটি গাওয়া হয়েছে। একটু হালকা কোরাসের সুর ও ব্যাকগ্রাউন্ডে বংশীর মিঠেল আওয়াজ ব্যবহার করা হয়েছে গানে। সেবন্তী দাসের মিষ্টি কণ্ঠে প্রাণ জুড়িয়ে দেয় গানটি৷ 

উক্ত গানের মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট, রিদম ও পারকাশান পরিবেশন করেছেন রূপম পারকাশানিস্ট। গানটিতে ব্যাঞ্জো, গিটার ও বেস গিটার পরিবেশন করেছেন অমৃত সরকার। গানটিতে বাঁশি পরিবেশন করেছেন শুভময় ঘোষ। গানটির অডিও প্রোডাকশনের দায়িত্বে ছিলেন ঝন্টু জানা ডি.জি ভয়েস স্টুডিও-র তত্ত্বাবধানে। গানটির ভিডিও প্রযোজনা করেছেন সাত্যকি চট্টোপাধ্যায় ময়ূরাক্ষী স্টুডিও-র আওতায়। গানটির সবরকম কাজে বিশেষ ভাবে সহায়তা করেছেন সুবিমল, জয়ন্তী, রোবীন ও গুড্ডু। 

লকডাউনে যখন সব্বাই ঘরবন্দী তখন বিনোদনের উপায় খুঁজছেন প্রত্যেকটা মানুষ। সকলে একটু নিত্যনতুন গান শুনতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে সত্যিই এক অনবদ্য উপহার হলো এই গান। এমনিতেই লোকগীতি শোনার জন্য কঠিন বা ভালো সময় বলে কিছু নেই৷ জীবনের চলার পথে প্রত্যেক মুহূর্তেই লোকগীতি আমাদের বাঁচার স্বাদ জোগায়। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments