Header Ads

শ্বাসরুদ্ধ থ্রিলার হিসেবে নজর কেড়েছে 'তকদীর'


লাশবাহী গাড়িতে লাশ বহন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে পাড়ি দেওয়া পেশা তকদীর আলমের। লাশবাহী গাড়িতে লাশ বহন করা ছাড়াও মাছ ব্যবসা করেও দিন কাটে তার। একদিন হঠাৎ লাশবাহী গাড়ির ফ্রিজার রুম থেকে মাছের পেটি সরাতে গিয়ে তকদীর একটি মেয়ের লাশ দেখতে পায়। এই লাশটা আসলে কার সে জানতো না। তাই লাশটিকে হাপিস করার জন্য মাথা খাটাতে থাকে সে। এই লাশটিকে নিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় তকদীর।


নতুন আলো পত্রিকার এক মহিলা সম্পাদক আফসানা যে তার সহকর্মীর সঙ্গে রিপোর্টিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। তকদীরের ভ্যানে যে মহিলাটির লাশ পাওয়া গেছে তা ঐ মহিলা সাংবাদিকেরই। পুলিশ থেকে গোয়েন্দা সন্ধান করতে থাকে তকদীরের গাড়িটির। তকদীর এ যাত্রা থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য তার বন্ধু মন্টুর সাহায্য নেয়। তারা কী শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাবে? 

তকদীর মুক্তি পাবার জন্য একটার পর একটা পরিকল্পনা করতে থাকে। আফসানার মৃতদেহ নিয়ে তারা কী করবে এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে তারা পলিটিক্যাল ইস্যুতে জড়িয়ে পড়ে। এভাবেই টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে চিত্রনাট্য এগোতে থাকে। 

এই ওয়েব সিরিজে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এই প্রথমবার হইচই এর বাংলাদেশ ভেঞ্চারের ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেন তিনি৷ তাঁর অনবদ্য অভিনয় নজর কেড়েছে এই ওয়েব সিরিজে। অন্যান্য চরিত্র মন্টুর ভূমিকায় সোহেল রানা ও সাংবাদিক আফসানার চরিত্রে সানজিদা প্রীতির অভিনয়ও অসাধারণ। 

এই ওয়েব সিরিজে যে বিষয়গুলো নাড়া দেয় তা হলো লাইটের অবর্ণনীয় কাজ, বিজিএম ছাড়া কলাকুশলীদের অভিনয়, দূর্দান্ত ডায়ালগ ডেলিভারি ও যত্ন সহকারে দৃশ্য নির্ধারণ প্রভৃতি। তরুণ পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকির পরিচালনা করেছেন এই সিরিজটি। প্রথম ওয়েব সিরিজেই তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার শক্তিশালী পরিচালনা, গল্পের মতো গল্প এই সিরিজকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। আয়নাবাজির পর চঞ্চল চৌধুরীর কেরিয়ারে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে 'তকদীর'। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments