Header Ads

আবেগতাড়িত অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভে অঝোরে কাঁদলেন তিনি


সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিশেষ লাইভে এসে কেঁদে ভাসালেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতাকে কাটাতে গৃহবন্দী সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলাতে ব্যস্ত  সকল মানুষ। কিন্তু গৃহবন্দীর বিষয়টা অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। বিশেষ করে যারা কাজ করতে ভালোবাসেন। যারা ভিড় পছন্দ করেন। করোনা ভাইরাস হলো এমনই একটি মরণঘাতী রোগ যাকে ধ্বংস করতে হলে সকলকে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। হোম আইসোলেশন যতই কঠিন হোক তবুও এটা সকলকে মেনে নিতেই হবে। 


দেশজুড়ে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো লকআউটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করছে। বাজার-শপিং মল বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ছবির শ্যুটিং  বন্ধ। হল বন্ধ। ছবির রিলিজ নেই। যা দেখতে অনেক মানুষের খুব একটা ভালো লাগছে না। গৃহবন্দী হয়ে দিন কাটাতে অস্বস্তি বোধ করছেন অনেকেই। 

অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ একটি ফেসবুক লাইভে এসে দুঃখবোধ করলেন করোনার আতঙ্কে যারা গৃহবন্দী হয়ে আছেন তাদের জন্য। তিনি বলেন- "আমি সেই সমস্ত লোকজনের কথা বলছি। তাদের কথা একটু ভাবুন। যারা চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তিন-চার ঘন্টা ঘুমোতে আসতো৷ বাকী সময়টা ঘুম থেকে উঠেই টই টই করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়তো। তারা পার্টি করতো, এই করতো, ওই করতো। তাদের আজকে বাইরে বেরোনো সব বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এখন সব বাড়িতে। ভিডিও দেখেও তাদের মন গলতে চাইছে না। কী করবে তারা? তাদের কথাটা একটু ভাবুন। কেউ ভেবেছেন? সারাদিন ধরে তারা টই টই করতো৷ যদি চার-পাঁচ ঘন্টা সে বাড়িতে থাকতো তাহলে তার মা তার মাথায়-বগলে হাত দিয়ে বলতো তোর কী শরীর খারাপ হয়েছে বলে তুই এতোক্ষণ বাড়িতে? তাদের কী কষ্ট হচ্ছে একবারও ভেবেছেন? আমি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি। সেই সমস্ত রূপসীদের কথা ভাবুন যারা ঘুম থেকে উঠে মুখে এক বালতি মেকআপ করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে সারাদিন কাটাত। পার্লারে সে নখ কাটত।তাদের দেখতে ভূতের মতো হয়ে যাচ্ছে। তাদের গায়ের লোম বড়ো হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে সাজতে সাজতে তাদের মেকআপ শেষ হয়ে যাবে।

আপনারা কেউ তাদের কথা ভাবছেন না। বারবার সেনিটাইজার হাত ধুয়ে তারা প্রাণ বাঁচাচ্ছে কী জন্য? তাদের কষ্টটা কেউ বুঝতে চাইছে না। যারা সারাদিন এখানে ওখানে সেলফি তুলতো। যারা ঝকঝকে-টকটকে ড্রেস পরে এখানে ওখানে বসে ছবি তুলতো তারা এখন কোথায় ছবি তুলবে? বুঝতে পারছেন কী তাদের কষ্টটা? এমনি এমনিই চোখে জল আসছে না। আমার বাড়িতে, বাড়ির চারপাশে যে অসহায় লোকজনেরা রয়েছেন তারা যেভাবে দিন কাটাচ্ছেন তাদের দেখে এমনিই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি সত্যিই মানুষ হন তাদের কথা অন্তত একবার ভাবুন। বেচারাগুলো কোথায় যাবে এমন অবস্থাতে ৷"

আবেগতাড়িত হয়ে আরো অনেক কথায় তিনি বললেন। বর্তমান করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না। আমরা কেউই জানিনা আবার কবে রাস্তায় ভিড় জমবে, গাড়ি চলবে, সেলফি তোলার হিড়িক লাগবে, মানুষের আড্ডা জমবে। একটা ভাইরাসের কাছে আমরা কতটা অসহায় তারই জানান দিল করোনা। আমরা সকলে চাই এ পৃথিবী খুব তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত হয়ে উঠুক।


প্রতিবেদন-সুমিত দে

No comments