Header Ads

'নাম সিধু পদবী ক্যাকটাস সিজন টু' শিরোনামের অনুষ্ঠানে সাক্ষী ছিল এক মায়াবী চাঁদের হাট



গত ২৮ শে ডিসেম্বর ছিল ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধুর জন্মদিন। তিনি পা দিলেন পঞ্চাশ বছরে। ২৮ শে ডিসেম্বর কলকাতার আইসিসিআরের সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে পালিত হলো সিধুর জন্মদিন। তাঁর ফ্যান ক্লাব 'লাভ ইউ সিধুদা' আয়োজন করেছিল একটি বিশেষ সন্ধ্যার। যার নাম 'নাম সিধু পদবী ক্যাকটাস সিজন টু'। ২০১৮ সালের মতো ২০১৯ এও জাঁকজমক ভাবে পালিত হলো দিনটি। একটার পর একটা চমকের পর চমক দেখানো হয় পুরো অনুষ্ঠানে। গানে-গল্পে বছর শেষে এক অনবদ্য সন্ধ্যা কাটলো ক্যাকটাসপ্রেমীদের। 


দ্য ইনস্টিটিউশন অব ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক নামের একটি গানের স্কুলকে এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায়। এটি মূলত বাচ্চাদের গান শেখানোর স্কুল। তারা ক্যাকটাসের বেশ কিছু গান অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে। এরপর স্নেহনীড় নামের একটি হোমের বাচ্চারা ক্যাকটাসের হলুদ পাখি গানটিতে নৃত্য পরিবেশন করেছিল। তারপর ক্যাকটাসের একটি আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান চলে দীর্ঘক্ষণ। ক্যাকটাসের এ অনুষ্ঠানের পর গান করতে দেখা গিয়েছিল সিধুর বন্ধুদের। সেদিনের সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন তাঁর বন্ধু গাবু চ্যাটার্জি, গৌরব চ্যাটার্জি, অনিন্দ্য বোস, উজ্জয়িনী মুখার্জি, অনিন্দ্য চক্রবর্তী যাকে ডিজে বাপন বলেই সকলে চেনেন। এভাবে গানের মধ্য দিয়ে আলাদা মাত্রা পেয়েছিল পুরো অনুষ্ঠান।   


'লাভ ইউ সিধুদা'র তরফ থেকে প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লাকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান জানানো হয়। গত বছর দুজন নতুন শিল্পীর সাথে সিধু কাজ করেছেন একজন হলেন শুভ যার সাথে 'বুড়ো রেডিও' বলে একটি গান করেছিলেন এবং আরেকজন হলেন ডক্টর অয়ন যার সাথে তিনি 'আবছা মন' বলে একটি গান গেয়েছিলেন। এনাদের দুজনকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায় উক্ত অনুষ্ঠানে। 'বুড়ো রেডিও' ও 'আবছা মন' গান দুটো নিয়ে কিছু সময় গল্প চলে। পাশাপাশি রিলিজ করা হয় সিধুর নতুন গান 'মায়াবিনী'। যে গানটিতে সঙ্গ দিয়েছেন ড. অর্কদীপ ও ইন্দ্রজিৎ দে ইন্দ্র। যে গানটি পয়লা জানুয়ারি অর্থাৎ আজকে মুক্তি পেয়েছে সিধু বাংলা রক ইউটিউব চ্যানেলে। এছাড়াও ডিস্ট্রোটেড ক্রোমোজোমস নামে একটি বাংলা রক-ব্যান্ডকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় এ অনুষ্ঠানে। 'লাভ ইউ সিধুদা' টিমের কিছু ছেলেমেয়েরা সিধুকে নিয়ে একটি গান বানিয়েছে যেটা তাদের মঞ্চে পরিবেশন করতে দেখা যায়। 


সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে সেলিব্রিটিদের নিয়ে একটি স্লট বানানো হয়েছিল। যে স্লটটির সঞ্চালনা করেছিলেন ৯৮.৩ এর বিখ্যাত আর.জে মির্চি সৌমক ও অগ্নি। এনারা ছাড়াও সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন মৌসম মজুমদার। পুরো অনুষ্ঠান কেবল মঞ্চের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা, অনুষ্ঠানের শেষে কেক কাটা ও কেক মাখামাখি চলে ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানের শেষে মুখরোচক ডিনারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে। সবমিলিয়ে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিলেন মহানগরের মানুষেরা। 



প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments