Header Ads

দীর্ঘ ২৫ বছর পর এক হত্যাকারী ফিরছে শহরে। পুলিশ কী ধরতে পারবে তাকে? আসছে নতুন বাংলা ছবি 'দ্বিতীয় পুরুষ'



"ফিরিবার পথ নাহি, দূর হতে দেখো চাহি৷ পারিবে না চিনিতে আমায়, হে বন্ধু বিদায়"। আইপিএস অফিসার প্রবীর রায়চৌধুরীর শেষ জবানবন্দী। মনে পড়ছে নিশ্চয়। বাইশে শ্রাবণ সিনেমার শেষ দৃশ্য। যেখানে প্রবীর রায়চৌধুরী তার সহযোগী অফিসারকে চেয়ারে বেঁধে রেখে শেষ জবানবন্দী দিয়ে বন্দুক দিয়ে নিজের মাথায় গুলি ভরে আত্মহত্যা করলেন। তারপর আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে তার রক্তে ভিজে যায় মাটি। বাইশে শ্রাবণের গল্প প্রবীর রায়চৌধুরীর মৃত্যুতেই সমাপ্ত হয়ে যায়নি। বাইশে শ্রাবণের পরবর্তী অংশ আসছে এবার 'দ্বিতীয় পুরুষ' হয়ে। 


দীর্ঘ ২৫ বছর পর এক হত্যাকারী ফিরছে শহরে। পুলিশ কী ধরতে পারবে তাকে? আসছে নতুন বাংলা ছবি 'দ্বিতীয় পুরুষ'। গত ১৪ ই ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই ছবির অফিশিয়াল ট্রেলার। রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা হাজারো জট দানা বেঁধেছে ছবির ট্রেলারে। দর্শকেরা ট্রেলার দেখে হিমশিম খাচ্ছে কে আসলে খুনী এই ছবিতে। দুর্ধর্ষ আবহের মিশেলে ১৮০ ডিগ্রি কোণ ঘুরিয়েছে ট্রেলারটি। 

'দ্বিতীয় পুরুষ ছবিতে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, গৌরব চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমা ঘোষ, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখার্জি, আবির চ্যাটার্জি ও আরো অনেকে। ছবিতে সংগীত পরিচালনা করেছেন অনুপম রায়। যিনি বাংলা গানের আরো একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছেন 'দ্বিতীয় পুরুষ' ছবির মধ্য দিয়ে। এসভিএফের প্রযোজনায় আগামী বছরের জানুয়ারীতে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। পরিচালক সৃজিত মুখার্জি নির্মাণ করেছেন এই ছবিটি। 

পুরানো সৃজিত মুখার্জি আবারো ফিরছেন 'দ্বিতীয় পুরুষ' ছবির মাধ্যমে। তাঁর পরিচালিত 'বাইশে শ্রাবণ', 'অটোগ্রাফ', 'চতুষ্কোণ' প্রভৃতি ছবিগুলো দর্শকদের মনে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছিল। মাঝখানে তিনি অন্য ধরণের ছবি বানানোর পর পুরানো ফর্মেটে নিজের পরিচালনা সত্বাকে ফিরিয়ে আনতে চলছেন। 'ভিঞ্চিদা' ও 'গুমনামী' এ দুটো সিনেমার দূর্দান্ত সাড়ার পর এবার 'দ্বিতীয় পুরুষ'। যে ছবি হবে বাইশে শ্রাবণের থেকেও আরো বেশি রোমহর্ষক। তবে দর্শকেরা কোথাও না কোথাও প্রবীর রায়চৌধুরীর অভাব বোধ করতে পারেন।   
  
ট্রেলার সম্বন্ধে আরো অনেক কথা লুকিয়ে রয়েছে নীচে দেওয়া ভিডিওটি তে। বিশদে জানতে লিটারেসি প্যারাডাইসের ইউটিউব চ্যানেলে দেখে নিন 'দ্বিতীয় পুরুষ' ছবির ট্রেলার রিভিউ। 


প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments