Header Ads

একান্তে সায়ন্তিকার পার্সোনাল হেয়ার আর্টিস্ট অরূপ হালদার


লিটারেসি প্যারাডাইস:- তুমি টি টু, আনন্দলোকের মতো ফ্যাশন ম্যাগাজিনের মডেলদের মেক আপ বা বিভিন্ন চ্যানেল ও সিনেমাতে মেক আপের কাজ করেছো। তো এই জায়গায় আসার জন্য কতটা লড়াই করতে হয়েছে?

অরূপ হালদার:- দেখো লড়াই তো অনেক করতে হয়েছে। জীবনে যত দিন গেছে লড়াই তো করতেই হয়। দশ বছর কাজ করছি দশ বছরই লড়াই করে চলেছি। দশ বছর লড়াই করে আজকে আমি এই জায়গাটা পেয়েছি।

লিটারেসি প্যারাডাইস:- মেক আপের কাজে আসার ভাবনাটা কীভাবে এলো?

অরূপ হালদার:- মেক আপ জীবনে আসার আগে আমি বহু কাজ করেছি, বহু রকমের কাজ করেছি বহু জায়গায় কাজ করেছি। রেকর্ডিং সেন্টারে কাজ করেছি। হয়তো মেক আপটা কোনো কারণে আমার মধ্যে ছিল আর কি। সেটা দিয়েই একটু একটু করে কাজটা করতে করতে আজকে প্রচুর মেক আপ আর্টিস্ট অনিরুদ্ধ চাকলাদারের মতো মেক আপ আর্টিস্টের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। সুরজিৎ বারিকের মতো মেক আপ আর্টিস্টের যোগাযোগ হয়েছে। বহু মানুষের সাথে, পিনাকি সরকারের মতো মেক আপ আর্টিস্টের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। এভাবে বহু যোগাযোগ হতে হতে তাদের কাছ থেকে কিছু শিখতে শিখতে এভাবেই মেক আপ লাইনে থাকার ভাবনা এসেছে।যথারীতি ভিতরে ছিল বলেই কাজটা আরো প্রকাশিত হয়েছে বা শিখে গেছি।

অরূপ হালদারের করা কিছু কাজ
লিটারেসি প্যারাডাইস:- ইন্ডাস্ট্রিতে মেক আপ আর্টিস্টদের ক্যারিয়ার কতটা রয়েছে?

অরূপ হালদার:- দেখো ইন্ডাস্ট্রিতে মেক আপ আর্টিস্টদের ক্যারিয়ার যদি দেখো আজকে আমি কাজটা করেছি তাই আজকে এই জায়গাটায় আসতে পেরেছি। প্রতিটি মেক আপ আর্টিস্টই যদি সে তার কাজটা দেখে বা কাজের জায়গায় সে কাজটা মন দেয়। যে চলো মাইন্ডে শুধু কাজটাই রাখি আর অন্য কিছুতে আমি মন না দেবোনা কারণ সেখানে কর্ম করতে গেছি ফলের আশা আমি পরে করবো। অবশ্যই ফলের আশা করবো কিন্তু কর্মটার প্রতি যদি আমরা মনটা দিই তাহলে একদম ভালো ব্রাইট ফিউচার। ঠাকুরের আশীর্বাদে আজকে আমি তো আমার জীবনে ব্রাইট দেখতে পাচ্ছি তাই আমার মনে হয় ভালো ক্যারিয়ার রয়েছে।

লিটারেসি প্যারাডাইস:- টলিউড ফিল্ম স্টার সায়ন্তিকা ব্যানার্জীর পার্সোনাল হেয়ারের কাজ কতদিন ধরে করছো?

অরূপ হালদার:- সায়ন্তিকা দির সাথে কাজ আজকে বোধহয় আমি তিন বছর ধরে কাজ করছি। তারও বেশি হয়তো তবে রানিং কাজ আমি তিন বছর ধরে করছি।

লিটারেসি প্যারাডাইস:- তুমি কি কস্টিউম ডিজাইনিং এরও কাজ করে থাকো?



অরূপ হালদার:- কস্টিউম ডিজাইনিং এর কাজ আমি করিনা। আমার কাজটা হলো মেক আপ ও হেয়ার। কস্টিউম ডিজাইনিং তো আমাদের মেক আপ আর হেয়ার আর্টিস্টকে নিয়ে চলতে হয়। তার জন্য আমাদের একটা টিম আছে। মেক আপ, হেয়ার ও কস্টিউম ডিজাইনিং এর একটা টিম আছে। ঐ টিম টাকে নিয়ে আমি কাজ করি। আমার পার্সোনাল ডিজাইনার আছে সেই সব ডিজাইনিং এর কাজ গুলি করে।

লিটারেসি প্যারাডাইস:- তোমার কাজ গুলো দেখে মনে হয় তুমি মেক আপের চেয়ে হেয়ার স্টাইলের বেশি কাজ করো।হেয়ার স্টাইল নাকি মেক আপ কোনটা তোমার বেশি ফেভারিট?

অরূপ হালদার:- এরকম কোনো কিছু নেই যে মেক আপ নাকি হেয়ার স্টাইল ফেভারিট।দেখো ফিল্ম লাইনে কাজ করি যখন যেমন কাজ আসে তখন সেটাই করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেয়ারের কাজ করি কারণ এখন এতো মেক আপ আর্টিস্ট হয়ে গেছে। দুটো কাজই করি যখন যে কাজটা বেশি আসে। তবে হেয়ারটা বেশি করতে করতে আমার লাইনটাই এখন হেয়ার হয়ে গেছে হেয়ারটাই এখন বেশি করি। মেক আপের জন্য আমি একজন পার্সোনাল মেক আপ আর্টিস্ট রেখে দিয়েছি।


লিটারেসি প্যারাডাইস:- তিনটি মেক আপ আইটেম যা মেয়েদের সবসময় সাথে রাখা উচিৎ বলে তুমি মনে করো?

অরূপ হালদার:- মেয়েদের সঙ্গে সবসময় একটা স্টুডিও ফিক্স, একটা কাজল পেন্সিল আর একটা লিপস্টিক (নিউট কালারের) এই তিনটা জিনিস রাখলেই একেবারে বিউটি। (একটু হাসি)

লিটারেসি প্যারাডাইস:- তোমাকে কোন মেক আপ আর্টিস্টদের কাজ সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে?

অরূপ হালদার:- এরকম কোনো ব্যাপার নেই কোন মেক আপ আর্টিস্টের কাছে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আজকে আমার চেয়ে যারা ছোটো তাদের কাছ থেকেও কিছু নতুন শেখার আছে। আর যারা বড়ো তাদের কাছ থেকে তো শিখে আসছি শিখে যাবো। প্রত্যেকটা সিনিয়ার মেক আপ আর্টিস্টদের সম্মান আমার কাছে একই। প্রত্যেকেই খুব ভালো কাজ করছে প্রত্যেকের কাছেই কিছু শেখার আছেই।


লিটারেসি প্যারাডাইস:- মেক আপ আর্টিস্ট হিসেবে ঋতুপর্ণ ঘোষকে কিভাবে দেখো?

অরূপ হালদার:- ঋতুদা তো আমাদের কাছে একটা বড়ো প্ল্যাটফর্ম। একটা টাইম ছিল যে সময়ে ইন্ডাস্ট্রিটা শুরু হয়েছিল ঠিক কথা কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন কিন্তু এই ঋতুদার মতো মানুষরাই। আজকে আমরা যে এই যে করে খাচ্ছি এককালে ঋতুদা রা এই প্ল্যাটফর্মটা দিয়েছিল বলেই আজ ব্রাইট ফিউচার দেখতে পাচ্ছি। উনি আজকে আমাদের মধ্যে নেই ঠিক কথা। থাকলে হয়তো আজকে আরো বেশি পেতাম যা পেয়েছি তার চেয়েও হয়তো বেশি পেতাম।

লিটারেসি প্যারাডাইস:- তোমার যে অরূপ ইনস্টিটিউট আছে সেখানে তুমি মেক আপ নিয়ে চ্যারিটি করো মেক আপ নিয়ে।চ্যারিটির ব্যাপারটা যদি একটু বলো।

অরূপ হালদার:- চ্যারিটি বলতে খুব একটা কিছু না। অনেক গরীব মানুষও চান মেক আপ নিয়ে কাজ করতে তো তাদের কম খরচে মেক আপ শেখাই ও মেক আপের আইটেম একটু কম খরচে পেতে সাহায্য করি। আমার গুরু বলেছিল নিজে জানা কাজ লোককে শেখানোর চেষ্টা করো তাই সেই চেষ্টাটা যতটা পারছি করছি এই আর কি।

লিটারেসি প্যারাডাইস:- নতুন মেক আপ আর্টিস্ট যারা হতে চায় তাদের জন্য তুমি কী উপদেশ দেবে?



অরূপ হালদার:- একটাই উপদেশ দেবো তাদের জন্য যে কাজের জায়গাটা সব সময় কাজ হিসাবেই একদম দেখুক।কাজের জায়গায় কাজটাতেই মন দিক। তাতে কি হয় নিজের ফিউচারটাও ব্রাইট হয়। সেখান থেকে খুব কাজ আসার সম্ভাবনাটাও তৈরি হয়। এবং যেখানে যে কাজটা করছে সে কাজটাও ভালো হয়। আর কাজ যখন আমরা ভালো করি তখন কাজও প্রচুর আসে। কাজের জায়গায় মনটা সব সময় কাজেই দেওয়াটা উচিৎ। এটা করতে পারলে তারা ব্রাইট ফিউচার সবসময় দেখতে পাবে।

প্রতিবেদন- অমিত দে

No comments