Header Ads

ভারতে বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেল


বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা। বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করে প্রাণ দিয়েছেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বাংলার জন্য আন্দোলন করেছে মানভূমের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ ও বরাক উপত্যকার মানুষ, ত্রিপুরাতেও বাংলা ভাষার ওপর অত্যাচার নেমে এসেছে বার বার। আন্দামান, দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডে বাংলা মাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে। মণিপুরী ভাষায় বাংলা হরফ ব্যবহার করা হয় সেই হরফটিও পরিবর্তন করার চেষ্টা হয়েছে যদিও মৈতৈ ভাষার বহু সাহিত্য বাংলা হরফে রচিত। হাফলং এ বাংলা হরফ পরিবর্তন করে বলা হচ্ছে সেটি নাকি হাফলং হিন্দি। মৈথিলী ভাষার হরফকেও পাল্টে দেওয়া হয়েছে, যদিও মৈথিলী হরফ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টাও বর্তমানে শুরু হয়েছে। 


বাংলার চেয়ে বয়সে কম এমন ভাষা গুলি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেলেও বাংলা ভাষাকে এতদিন দেওয়া হয়নি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা। চর্যাপদ বাংলা ভাষার অমূল্য সম্পদ যদিও তা ব্যবহার করে ওড়িয়া ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেলেও বাংলা ভাষাকে দেওয়া হয়নি এই মর্যাদা। চর্যাপদের সমস্ত কবি বাঙালি, চর্যাপদ আবিষ্কার করলো বাঙালি কিন্তু সেটি নাকি বাঙালির সম্পদ নয় এমন অপমান সহ্য করতে হয়েছে আমাদের। মধ্যযুগের চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, চন্ডীমঙ্গল, মনসামঙ্গল, রায়মঙ্গল, অন্নদামঙ্গল, বৈষ্ণব পদাবলী, পদ্মাবতী এরকম হাজারো কাব্য রচিত হয়েছে। এরপর এসেছেন লালন ফকির, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, সৈয়দ মুজতবা আলী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিৎ রায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, শাহ আবদুল করিম, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, কবি আব্দুল হাকিম, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মোহিনী চৌধুরী ও হাজার কবি সাহিত্যিক, গীতিকার, গল্পকার, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, ছোটো গল্পকার, বাউল সাধক। 

একের পর এক বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন, সাহিত্য সংগঠন ও বহু বাঙালির দীর্ঘ চেষ্টায় বাঙালি এই স্বীকৃতি আদায় করতে সমর্থ হন। বাঙালির জন্য এটি একটি গর্বের বিষয়।

প্রতিবেদন- অমিত দে


No comments