Header Ads

বিষ্ণুপুরের মোতিচুর লাড্ডু টেক্কা দিতে পারে তিরুপতির লাড্ডুকেও


ধ্রুপদী সঙ্গীত বিষ্ণুপুর ঘরানার কথা আমরা কেই বা না জানি। মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুরের মন্দির, কামান এসবের জনপ্রিয়তা বরাবর। এখানে আসা পর্যটকরা সকলেই বিষ্ণুপুরের বহু পুরানো মিষ্টি মোতিচুরের লাড্ডু প্রায় সকলেই কেনেন। 


বহুকাল থেকেই বিষ্ণুপুরে গান বাজনা মোতিচুর এই কথাটি প্রচলিত। অর্থাৎ বিষ্ণুপুর মানেই গান বাজনা ও মোতিচুরের লাড্ডু। 

মল্ল রাজাদের উপাস্য দেবতা ছিল রাধাগোবিন্দ। যে কারণে মল্ল রাজারা রাধাগোবিন্দ পূজার প্রসাদ হিসেবে সুস্বাদু মিষ্টি তৈরির নির্দেশ দেন রাজ মোদক নামে এক মিষ্টি ব্যবসায়ীকে। ঐ ব্যবসায়ী পিয়াল গাছের বীজ সংগ্রহ করে তার বেসন তৈরি করে প্রস্তুত করেন মোতিচুর লাড্ডু। যা সেই সময় থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মোতির মত চকচকে হয় এই লাড্ডু, এ জন্যই এর মোতিচুর লাড্ডু নামকরণ করা হয়।


এই মিষ্টি নিয়ে বিষ্ণুপুরের সকলে গর্ব করেন। অনেকেই বলেন যে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুও মতিচুর লাড্ডুর কাছে হার মেনে যায়। বিষ্ণুপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা রসগোল্লা দিবসে এই মিষ্টির-ও জিআই ট্যাগ দাবি করেছেন। বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা এই মিষ্টি গুলো খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে বরাবর জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাই প্রচারের আলোয় এলে এসব মিষ্টি ব্যবসায়ীদের বিক্রি বাড়তে পারে। তাই এই মিষ্টি জিআই পেলে বিষ্ণুপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

প্রতিবেদন- অমিত দে


No comments