Header Ads

বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে বাংলার মাঠে ঘাটে তাল গাছ বাড়ানো উচিৎ


আর্থ নেটওয়ার্কের সারা পৃথিবীতে রয়েছে হাজার হাজার সেন্সর যেগুলো বজ্রপাতের সংখ্যা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। ওনাদের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ বজ্রপাতের সংখ্যায় ভারতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বছরে প্রায় ৩০ লাখ বজ্রপাত হয়েছে ২০২০ সালে।


বজ্র নিরুপনে বাড়িতে বজ্র নিরুপন লাগানোর কাজ সেভাবে শুরু হয়নি যেগুলো খুব প্রয়োজনীয়। বজ্রপাতে মৃত্যু সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হয় বাংলাদেশে। বজ্রপাতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেখলে একটা জিনিস ভালো করে দেখা যায় তা হল মৃত্যু হওয়া বেশিরভাগ লোকই চাষ করতে গিয়ে মারা গেছেন। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ায় বজ্রপাতের সংখ্যাও বাড়ছে। ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে প্রায় ২০ শতাংশ বজ্রপাত বৃদ্ধি পায় এমনটাই ধারণা করা হয়।

বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে বহু মডেল রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক মডেল-ই সবচেয়ে কার্যকরী ও সহজ। আমরা প্রায় সকলেই লক্ষ্য করে থাকি যে তাল, নারকেল ও খেজুর গাছ বজ্রপাতের ফলে মারা গেছে, অন্য গাছের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়না। এর প্রধান কারণ হলো তালগাছের উচ্চতা।

আগে বজ্রপাত হতো কিন্তু বাংলার মাঠের আলগুলোতে লাখ লাখ তালগাছ থাকায় খুব বেশি বজ্রপাত মাটিতে পৌঁছাতে পারতোনা। বর্তমানে বাংলায় তাল ও খেজুর গাছের সংখ্যা অভূতপূর্ব হারে কমে গেছে। যার ফলে বর্ষাকালে মাঠে কাজ করা দিন দিন বিপজ্জনক হচ্ছে। বাড়ছে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা। আমাদের অবিলম্বে এই গাছগুলো মাঠের আলে লাগানো উচিত। প্রাকৃতিক রক্ষাকবচের আগে কেউ নেই তাই এইসব বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করাও খুব প্রয়োজন। 

বাংলাদেশে তাই ৩১ লাখ তালগাছ রোপন করা হয়েছে কিছু বছর আগে। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলাতেও কয়েকটি পরিবেশ সংগঠন এই কাজ করায় হাসাহাসি করেছিল লোকে। তাদের ওপর কটুক্তি করতেও ছাড়েনি কেউ কেউ। আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বেশি করে তাল, খেজুর, নারকেল গাছ লাগালে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমানো সম্ভব। তাই সরকার ও সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রতিবেদন- অমিত দে 


No comments