Header Ads

পুজোতে ছৌ মুখোশ তৈরির শিল্পকে তুলে ধরলো জলপাইগুড়ির দিশারী সংঘ


বাংলার এক ঐতিহ্যমণ্ডিত শিল্প হলো 'ছৌ শিল্প'।পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডির রাজা মদনমোহন সিংহ দেবের সময়কাল থেকে ছৌ মুখোশ বানানোর ঐতিহ্য চলে আসছে, তিনি ছিলেন এই লোকশিল্পের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ছৌ মুখোশ ঐতিহ্যগতভাবে মানভূমের প্রাচীন নৃত্যশৈলীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা সময়ের সাথে অবলুপ্ত হলেও মুখোশ তৈরির শিল্পটি আজও অবিচল।


এই ছৌ মুখোশ তৈরির শিল্পই উঠে এলো জলপাইগুড়ির দিশারী সংঘের পুজোতে। জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম সেরা পুজোগুলির মধ্যে একটি হলো দিশারী সংঘের পুজো। চলতি বছরে তাদের পুজো ৫৭ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। প্রতি বছর বিগ বাজেটে পুজো করে এই সংঘ। করোনা আবহে বাজেট কিছুটা কমানো হয়েছে। সমস্ত সরকারি নিয়মবিধি মেনেই সম্পন্ন হচ্ছে তাদের দুর্গাপুজো।

দিশারী সংঘের এ বছরের পুজোতে মণ্ডপের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে একটি কাল্পনিক দেশকে। ছৌ শিল্পের নানান উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মণ্ডপ। যা দেখলে দর্শকদের চোখ জুড়িয়ে যাবে। মণ্ডপশিল্পীরা যত্ন সহকারে তাদের শৈল্পিক স্পর্শে অসাধারণ ভাবে মণ্ডপটি তৈরি করেছেন। মণ্ডপটি থিমের হলেও প্রতিমাতে নেই কোনো থিমের ছোঁয়া। সাবেকি সাজে বানানো হয়েছে প্রতিমা।

দর্শকদের সুবিধার জন্য  মণ্ডপটি খোলামেলা রাখা হয়েছে। মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করা যাবে এখানে। উদ্যোক্তারা দর্শকদের মাস্ক পরিধান করে মণ্ডপে ঘোরার অনুরোধ জানিয়েছেন। মণ্ডপ চত্বর পুজোর চারদিন দু'বার করে স্যানিটাইজও করা হবে এখানে। এ বছর বিশ্ব বাংলার বিচারে জেলার শ্রেষ্ঠ পুজোর শিরোপা অর্জন করেছে দিশারী সংঘের পুজো। 

দিশারী সংঘের পুজোর থিম হিসেবে ছৌ মুখোশ তৈরির শিল্পকে বেছে নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই লোকশিল্পের প্রচার ও প্রসার৷ সাথে এই লোকশিল্পকে যাতে রক্ষা করা হয় সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। ছুটির দিনে কল্পনার জগতে হারিয়ে যাওয়ারও সুযোগ রয়েছে এখানের পুজোতে। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments