Header Ads

দুরারোগ্য ব্যাধি সিলিকোসিসের স্ক্রিনিং টেস্ট কিট আবিষ্কার বাঙালি বিজ্ঞানীর


সিলিকোসিস, যে রোগটি শ্রমিকের রোগ হিসেবেই পরিচিত বিশ্বে। পাথরভাঙা কল, কাচের জিনিসপত্র তৈরির কারখানা, কয়লা খনি প্রভৃতি স্থানে কাজ করা শ্রমিকেরা প্রধানত এই রোগে  আক্রান্ত হন। এনআইওএইচ সূত্রের খবর, প্রতি বছর সারা দেশে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ সিলিকোসিসে আক্রান্ত হন।  এই রোগটি নির্ণয়ের জন্য বিশ্বে প্রথম স্ক্রিনিং কিট আবিষ্কার করলেন বাঙালি বিজ্ঞানী শ্যামসুন্দর নন্দী। তিনি জানাচ্ছেন, ২০২২ সালের মধ্যে এই কিটটি ভারতের বাজারেও এসে যাবে৷


সিলিকোসিস একপ্রকার দুরারোগ্য ব্যাধি। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সিলিকা ফুসফুসে গিয়ে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হ্রাস করে৷ সিলিকোসিস স্ফটিকের ধুলোর সূক্ষ্ম কণার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সম্পর্কিত একটি রোগ। এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। সিলিকোসিস রোগীরা যক্ষ্মারোগে ঝুঁকিতে থাকেন এবং ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়৷  

নতুন আবিষ্কৃত এই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আধ ঘন্টার মধ্যেই তাদের সিলিকোসিস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। এই আবিষ্কারের নেপথ্যে থাকা শ্যামসুন্দর নন্দী  পুরুলিয়ার হুড়ার বড়গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে 'এনআইভি'-র মুম্বই ইউনিটের সহ-অধিকর্তা পদে রয়েছেন। সম্প্রতি 'আইসিএমআর' এই কিটের অনুমোদনও দিয়েছে।   

শ্যামসুন্দর বলেন, "এই কিটে এক ফোঁটা রক্ত ফেলে পরীক্ষায় বোঝা যাবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেহে সিলিকোসিস বাসা বেঁধেছে কি না।" তাঁর দাবি, রক্তে থাকা একটি প্রোটিনের মাত্রা থেকেই এই বিষয়টি জানা যাবে। বিশ্বের নানা দেশ এই সমস্যার  শিকার। এত দিন এই রোগটি আগাম নির্ণয়ের কোনও পরীক্ষা ছিল না। এই কিট আশার আলো দেখাবে৷  

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments