Header Ads

অজুহাত ও জটিলতা যখন হেরে যায় ভালোবাসার কাছে


আগের দুটো পর্বে আমরা হাফ ডজন গপ্পোর প্রথম দুটো গল্প 'দ্বিতীয় বসন্ত' ও 'হৃদমাঝারে' নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকের প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করবো এই ওয়েব সিরিজের তৃতীয় গল্প 'জন্মদিন' নিয়ে। এই গল্প একটি অন্য ভালোবাসার গল্প৷ যতই বিপদ আসুন না কেন একটি সম্পর্কের গভীরতা কখনো কমে না, এটাই এই গল্পের সারমর্ম। 


'জন্মদিন' গল্পটি দেখলে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই গল্পের নাম জন্মদিন। তাদের জন্য একটাই উত্তর এক প্রেমিকার তার প্রেমিকের জন্মদিন উদযাপন নিয়ে এগিয়েছে গল্পের চিত্রনাট্য। যে জন্মদিন হয়তো তার প্রেমিকের শেষ জন্মদিন। তার প্রেমিকের হাতে সময় ফুরিয়ে আসছে একটু একটু করে। যে জীবনের সমস্ত সুখ ভুলতে বসেছে। তার প্রেমিকা যাতে সে মারা যাবার পর যাতে দুঃখ না পায় সেই জন্য নিজেকে একটু একটু করে গুটিয়ে নিতে থাকে। 

জীবনের শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পড়া ছেলেটিকে আনন্দে রাখতে তার প্রেমিকা জন্মদিনের আয়োজন করে৷ ভালোবাসতে গেলে কোনো অজুহাত, জটিলতা গুরুত্বপূর্ণ কথা নয়; আসল বিষয় হলো  ভালোবাসা। একটা জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে সেই বার্তা ছড়ানো হয়েছে এই গল্পে। অতএব গল্পের নাম জন্মদিন রাখা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। 

এই গল্পটিও পরিচালনা করেছেন শুভম দত্ত। এই ছবিতে তিনি অভিনয়ও করেছেন। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জয়িতা দাস। অত্যন্ত সাবলীল ছিল শুভম দত্ত ও জয়িতা দাস জুটির অভিনয়। গল্প, চিত্রনাট্য, আবহসঙ্গীত, মুখভঙ্গিমা, থিম সবকিছুই হৃদয়কে আকর্ষণ করার মতো। তৃতীয় পর্ব প্রথম দুটো পর্বকে ছাড়িয়ে গেছে। হাফ ডজন গপ্পো সিরিজের এখন পর্যন্ত সেরা গল্প হলো জন্মদিন। এসডিপি ভেঞ্চার নিবেদিত এই সিরিজের তৃতীয় পর্ব নিয়ে আর বেশি কিছু লিখছি না। এবার পরবর্তী প্রতিবেদনে আমরা কথা বলবো চতুর্থ পর্ব নিয়ে৷ চতুর্থ পর্বের গল্পের নাম 'তুমি এলে তাই'। আগামী শনিবার মুক্তি পেতে চলেছে এই গল্প। তুমি এলে তাই গল্পে জুটি বেঁধেছেন অরুণাভ-কৌশিকী।

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments