Header Ads

বাংলা পক্ষ সহ বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির আন্দোলনে রেল টিকিটে বাংলা ফিরলেও বাংলা লেখার স্থান তৃতীয়তে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে


ভারতের সংবিধানের প্রথম লাইনগুলি ঠিক এভাবেই শুরু হচ্ছে -

WE, THE PEOPLE OF INDIA, having solemnly 
resolved to constitute India into a 1
[SOVEREIGN 
SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLIC] and
to secure to all its citizens:
JUSTICE, social, economic and political;
LIBERTY of thought, expression, belief, faith and
worship;
EQUALITY of status and of opportunity;
and to promote among them all



সংবিধানের প্রথম থেকেই প্রত্যেকটি ভাষা, জাতির সমান গুরুত্ব ও প্রচারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের সব কাজেই অহিন্দি ভাষা গুলির প্রতি বিদ্বেষ দেখা যায়। যে কোনো মানুষ চোখ কান খুললেই তা দেখতে পাবেন সহজেই। রেলের আর পি এফ এমনকি টিকিট কাউন্টারে থাকা কর্মীদের নূন্যতম রাজ্যের ভাষা টুকু শেখানোর প্রয়োজন বোধটুকুই করেনা ভারতীয় রেল। 

শুধু রেলই নয় প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যন্ত অফিসার লেভেলের পোস্টে রাজ্যের ভাষা না শিখিয়েই পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র সরকার। আই পি এস অফিসার, রাজ্যপাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট মেজিস্ট্রেট দের প্রায় অধিকাংশই বাংলা, তামিল, তেলুগু, ওড়িয়া না জেনেই রাজ্যের সার্ভিস কিভাবে দিতে পারে তা নিয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টুডেন্ট দের প্রশ্ন উঠতেই পারে।

বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের কোনো পরীক্ষাতেই অহিন্দি ভাষা রাখা হচ্ছেনা। আই বি পি এস, এস বি আই, কোল ইন্ডিয়া, সিভিল সার্ভিস, আর বি আই, সেল, ভেল, ইন্ডিয়ান আর্মি, এল আই সি, ইপিএফও, এ.আই.ই.ই.ই. ইত্যাদি প্রত্যেকটি পরীক্ষাই হয় হিন্দি এবং ইংরেজিতে কোনো অহিন্দি ভাষায় হয়না। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতেই পারে সংবিধান মেনে কতটা কাজ হচ্ছে।

স্টেনোগ্রাফার পোস্টের টাইপিং এর পরীক্ষা হয় শুধুমাত্র হিন্দিতে, কেন্দ্র সরকার প্রত্যেকটি অফিসে হিন্দি দিবস পালন করে কিন্তু বাংলা দিবস, তামিল দিবস, কর্ণাটকা রাজ্যোৎসাভা করেনা কোনো কেন্দ্র সরকারি অফিস। যা প্রশ্ন তুলতেই পারে সত্যিই কি এটা হচ্ছে যে ‘EQUALITY of status and of opportunity; and to promote among them all.’ 

পাসপোর্টে হিসেব মতো ভারতের প্রত্যেকটি স্বীকৃত ভাষাই থাকা উচিত যেহেতু ভারত একটি বহুভাষীক দেশ তাই বিদেশে যেন লোক জানতে পারে ভারতে অন্য ভাষাও আছে তা করছেনা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারগুলি। এমনকি প্যান কার্ড, আধার কার্ডেও রাজ্যের ভাষা তুলে দেওয়া হচ্ছে। সিবিএসই, আইসিএসই বিদ্যালয় গুলি ইংরেজি মাধ্যম হলেও কার্যত তা হিন্দি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এমনকি লোকসভা টিভিরও অন্য ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছেনা। বাংলা বা তামিল ভাষার ফিল্মেও সেন্সার কপিতে বাংলা বা তামিল রাখা হচ্ছেনা। ভারতের কোনো জাতীয় পুরষ্কারেও রাজ্যের ভাষা রাখা হয় না অথচ সংবিধান বলে- ‘India, that is Bharat, shall be a Union of States’ অর্থাৎ ভারতবর্ষ একটি যুক্তরাষ্ট্র হওয়া সত্বেও বেআইনি ভাষা নীতি চলছে।

এরকমই একটি উদাহরণ হল রেলের টিকিটে রাজ্যের ভাষা না রাখা। বিভিন্ন সংগঠনগুলির আন্দোলনে বাংলা ফিরল ঠিকই কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সংবিধান উলঙ্ঘনের বিষয়টা সরকারকে কেন মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে? কেনই বা এসব আন্দোলন করে পেতে হচ্ছে । এ নিয়ে বাংলা পক্ষ, বাংলা ভাষা একতা মঞ্চ, আমরা বাঙালীর মতো বহু বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন একের পর এক ডেপুটেশন দেওয়ায় অবশেষে পূর্ব রেলের টিকিটে বাংলা ফিরলো যার জন্য ঐসব দলকে কুর্নিশ। এবার আশা করছি যে বাংলাকে প্রথমে আনার জন্য তাঁরা আবার আন্দোলন করে জাতীর স্বার্থ সুরক্ষিত করবেন।। 

প্রতিবেদন-লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments