Header Ads

বাংলার লোকগানের প্রসারে কসবার হালতু নন্দী বাগানে আয়োজিত হতে চলেছে "লোকনন্দন উৎসব"



বাংলার লোকশিল্প বিশ্ববিখ্যাত। গ্রাম-বাংলাতে বিশেষত লোকশিল্প নিয়ে কাজ সর্বাধিক পরিমাণে হয়। আজও গ্রাম-গঞ্জে লোকগানের আসর বসে। বাংলার লোকগানকে সাধারণ মানুষের মধ্যে অধিকতর সমৃদ্ধ করতে কলকাতার কসবার হালতু নন্দী বাগানে আয়োজিত হতে চলেছে "লোকনন্দন উৎসব"। তিনদিন ধরে চলবে লোকগানের এই উৎসব। চলতি বছরে পঞ্চমতম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে এই উৎসব। গত চার বছরের মতো এই বছরেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাউল ফকিরদের সমাগম ঘটতে চলেছে অনুষ্ঠানটিতে। তিন দিন " মূলমঞ্চ" ভরে থাকবে বাংলার বিভিন্ন লোক সঙ্গীতে। 


আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে 'লোকনন্দন উৎসব'। চলবে ২৯ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে প্রভাতফেরির মাধ্যমে সূচনা হবে উৎসবটির। বেলা তিনটে থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত নগর বাউল মঞ্চ ও ছটা থেকে শুরু হবে মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট লোক সংগীত শিল্পীরা। সারাদিন ব্যাপী আখড়ায় চলবে গানের আড্ডা। থাকছে বিভিন্ন জেলার হস্ত শিল্প ও কুটিরশিল্পের সম্ভার। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যের পসরা থাকছে উৎসবটিতে।  

লোকনন্দন উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ হলো 'নগর বাউল মুক্তমঞ্চ'। যে মঞ্চে মূলত শহরের বাংলা ব্যান্ড ও স্বাধীন শিল্পীরা অনুষ্ঠান করে থাকেন। 'নগর বাউল মুক্তমঞ্চ' এর প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন 'ফ্রেন্ডস' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সুব্রত আচার্য ও অন্যান্য ব্যান্ডের সদস্যরাও। এই মুক্তমঞ্চের উদ্দেশ্য হলো বাংলা স্বাধীন গানকে ছড়িয়ে দেওয়া। লোকগানের সাথে শিল্পীদের লেখা নতুন গান ও করতে পারে এখানে। 


'লোকনন্দন উৎসবে'র প্রধান উদ্যোক্তা ও সম্পাদক হলেন শান্তনু ভট্টাচার্য। উৎসবটি পরিচাললা করছেন 'জনকল্যাণ ও লোকসংস্কৃতি সমিতি'। বাউল ও লোকগানের মধ্যে নিজেকে হারাতে হলে সপরিবারে দেখে আসতে পারেন এই উৎসব। লোকগানের প্রসারে 'লোকনন্দন উৎসব' এর অনস্বীকার্য ভূমিকা রয়েছে। আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর লোকগানের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় ছিনিয়ে নিতে সাক্ষী থাকবে এই উৎসব।

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments