জেলের দেওয়ালে কাঠ কয়লা দিয়ে জ্যোতিষ পাল লিখেছিলেন বুড়িবালামের যুদ্ধের কাহিনী
বালেশ্বেরের জঙ্গলে বাঘাযতীনের সঙ্গী ছিলেন মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত, চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী,নীরেন দাশগুপ্ত, জ্যোতিষ পাল। সকলের কাছেই বাঘাযতীনের একটাই পরিচয় সকলেই কাছেই তিনি ছিলেন দাদা। সেই দাদা যার এক ডাকে সবকিছু করতে তৈরী মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত, চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী,নীরেন দাশগুপ্ত, জ্যোতিষ পাল।
ইতিহাসের পাতায় এক উপেক্ষিত বীর বিপ্লবী জ্যোতিষ পাল। জন্ম কমলাপুর গ্রামে। পিতা মাধবচন্দ্র পাল। কয়ার চ্যাটার্জী পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিল জ্যোতিষ পালের পরিবারের। সেই সুবাদে কম বয়সেই বাঘাযতীনের সাথে পরিচয় জ্যোতিষের। খুব অল্প বয়সে ঢুকে পড়েন বিপ্লবীদের সমিতিতে।
দাদা জ্যোতিষকে ডাকতেন চাক বলে। বাঘাযতীনের মেয়ে আশালতা চাককাকা বলতে অজ্ঞান। ছিনাইদহতে ঠিকেদারির ব্যবসা করার জন্যে জ্যোতিষ পালকে ডেকে নিয়ে আসেন বাঘাযতীন। হয়ে ওঠেন দাদার পরিবারের সদস্য।
দাদার এক ডাকে নিজের স্ত্রী, শিশুকন্যাকে ছেড়ে বালেশ্বরে চলে যান জ্যোতিষ পাল।
বুড়িবালামের যুদ্ধের পর আহত জ্যোতিষ পালকে রাখা হল বালেশ্বর হাসপাতালে। এরপর বিচারে দীপান্তর হয় তাঁর।
জ্যোতিষ পালের উপর অমানুষিক অত্যাচার হয় সেলুলার জেলে। উন্মাদ হয়ে যান জ্যোতিষ। তাঁকে নিয়ে আসা হয় বহরমপুর জেলে। সেখানে একটু স্বাভাবিক হলে জেলের দেওয়ালে কাঠ কয়লা দিয়ে জ্যোতিষ লিখেছিলেন বুড়িবালামের যুদ্ধের কাহিনী। ১৯২৪ সালের ৪ ঠা ডিসেম্বর জেলে মৃত্যু হয় তাঁর (কারণ অজ্ঞাত- সম্ভবত পুলিশের অত্যাচারে)। অথচ তাঁর কিছুদিনের মধ্যেই জ্যোতিষের ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল জেল থেকে।
তথ্য - বাঘাযতীন (লেখক - পৃথীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়)
Post a Comment