Header Ads

ভারতরত্ন ড. আব্দুল কালাম স্বর্ণপদক পেলেন ডা. সন্দীপক রায় মেডিসিন এন্ড সোশ্যাল সার্ভিস নিয়ে কাজ করার জন্য




তামিলনাডুর চেন্নাইতে গ্লোবাল ইকনমিক প্রোগ্রেস এন্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশন আয়োজিত ভারতরত্ন ড. আব্দুল কালাম স্বর্ণপদক প্রাপ্তি অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক লাভ করেন ত্রিপুরার ডা. সন্দীপক রায় মেডিসিন এন্ড সোশ্যাল সার্ভিস নিয়ে কাজ করার জন্য। ডা. সন্দীপক রায় চোখের যে রোগগুলো একটু সচেতন  হলেই  এড়িয়ে  চলা  যায়, সেসব   রোগের  সচেতনতার চেষ্টা  করেন । ডিস্ট্রিক্ট ব্লাইন্ডনেস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম বা ডি বি সি পির মাধ্যমে তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলাকে ক্যাটারেক্ট ব্যাকলগ ফ্রি ডিস্ট্রিক্টে পরিণত করেন। তিনি এ কাজটি করার জন্য একটি নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির নক্সা তৈরি  করেন। এই নক্সাটিকে ২০১৭ খ্রীস্টাব্দে ইন্দৌরে অনুষ্ঠীত চতুর্থ ন্যাশানাল সামিট অন গুড রেপ্লিকেবেল প্রেক্টিসেস এন্ড ইনোভেসেনস ইন পাবলিক হেলথ কেয়ার সিস্টেমে ভারত সরকার দ্বারা প্রশংসিত হয়। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন ভারত জ্যোতি অ্যাওয়ার্ড। ওনার গবেষণাপত্র ওসাকন ২০১০ এ সেরা গবেষণাপত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১১ তে ভূবনেশ্বরে তিনি ইয়ংগেস্ট প্রেজেন্টার হিসেবে ঘোষিত হন ইন্ডিয়ান ক্যানসার কংগ্রেসে। তিনি ১১ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন দেশ বিদেশের বিখ্যাত জার্নালগুলিতে।
দ্য ইন্টারন্যাশানাল পাব্লিশিং হাউস থেকে ভারতের সেরা নাগরিক সম্মান ২০১৮ তেও ভূষিত হন তিনি। তিনি ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেন এম বি বি এস এবং এম এস অপথালমোলজি বিভাগে। তিনি ত্রিপুরায় চক্ষু চিকিৎসার এক নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন।
ডা. সন্দীপক রায়ের হাতে ভারতরত্ন ড.আব্দুল কালাম স্বর্ণপদক তুলে দেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি কে.স্বামীদুরাই। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আই এ এস অফিসার এবং প্রাক্তন লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ কে. মলয়স্বামী।

বিভিন্ন বিভাগে মোট ১৫ জন এই পুরষ্কার পান। ত্রিপুরা থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই পুরষ্কার পেলেন ডা. সন্দীপক রায়। তিনি দোলনচাঁপা বসু ক্যাটারেক্ট সার্জারি মেমোরিয়ালের মাধ্যমে চক্ষু চিকিৎসায় হাজার হাজার মানুষকে সহায়তা করেছেন। তিনি তাঁর আবিষ্কৃত বিশেষ পদ্ধতিতে গ্রাসরুট ওয়ার্কার্শ তথা আশা ও অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের সাহায্য নিয়ে মানুষের চোখের রোগ শনাক্ত করে তার নিরাময় করেছেন সমগ্র ত্রিপুরা জেলা জুড়ে। তিনিই উত্তর পূর্ব ভারতে সর্বপ্রথম অত্যন্ত কম খরচে ফেকোসার্জারির সুবিধা নিয়ে আসেন রাজ্যবাসীর জন্য। তিনি সেবা শৌর্য সংস্থানের মাধ্যমে করে চলেছেন একের পর এক কর্মকান্ড যার ফলে উপকৃত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।








No comments